জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২১নং হল ছাত্রদলের ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৩ জনই সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ রিমন, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সীমান্ত ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইমরান নাজিজ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাবি শাখার আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক স্বাক্ষরিত ২১ নং হল ছাত্রদলের হল কমিটিতে এ নাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফিরোজ আহমেদ রিমন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৫০ ব্যাচের ছাত্র, সাইদুর রহমান সীমন্ত তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের ছাত্র ও ইমরান নাজিজ পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের ৫১ ব্যাচের ছাত্র।
সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ রিমন ২১নং হলের ছাত্রলীগের ব্লকে থাকতেন এবং একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের মিছিল, মিটি এ উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। এছাড়া জুলাই আন্দোলনে সরাসরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে তাকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। তার এসকল কর্মকান্ডের ছবি, ফুটেজ প্রতিবেদকের হাত এসেছে।
এদিকে সহসভাপতি সাইদুর রহমান সীমান্ত গত বছর ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। থাকতেন ছাত্রলীগের দখলকৃত ব্লকে। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের হয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় এবং তা প্রমাণিত হওয়ায় ২১ নং হলের ৫০ ব্যাচের পক্ষ থেকে তাকে আজীবনের জন্য বয়কট করা হয়। বর্তমানে হলে অবস্থান করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত রয়েছেন বলে জানা যায়।
আবার, গত বছরের ৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অপরাধে ইমরান নাজিজ ৯ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এর আগে একই বছরের ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা চার বহিরাগত শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্ত নাজিজ। এরপর তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত নাজিজ। এসময় তিনি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ছাত্রদলের জাবি শাখার সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলাম না। তবে এ ধরনের অভিযোগের প্রমাণ কারও বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়েছি। আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি। তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য