আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে “ব্রেক দ্য সাইলেন্স” অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কক্ষের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা “কবে হবে বলে দাও, হচ্ছে হবে বাদ দাও” ; “জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার” ; “বৃত্তি আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার” ; “চলছে লড়াই চলবে, জবিয়ানরা লড়বে” ; “আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘণ্টা” ; “ভিসি স্যার জানেন নাকি, আমরা এখানে বসে আছি” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা অনেক সময় দিয়েছি। গত মে মাস থেকে এক দুই মাসে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের অদক্ষতার কারণে তা হয়নি, আমরা নামতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের দাবি ছিল বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো। কিন্তু এই প্রশাসন তা করে নি।”
তিনি আরও বলেন, “এতদিন আমরা বাইরে ছিলাম। প্রশাসন এসির বাতাসে ছিল। কিন্তু এখন আমরা ভিসি ভবনে থাকবো, প্রশাসন মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ঘুরবে। আমরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠবো না।”
শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমরা একবছর দাবি জানিয়ে আসছি। এরপর যমুনার সামনে থেকে উঠে এসে দেখি দাবির ফলাফল শূণ্য। আমাদের জকসুর নীতিমালা প্রণয়নসহ রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি। দৃশ্যমানভাবে এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসি ভবন ছাড়বো না।”
শাখা শিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “আমরা ২ দফা দাবি নিয়ে এখানে বসেছি।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান যৌক্তিক দাবিগুলো কোনো এক অজানা কারনেই আটকে আছে। আমরা প্রশাসনের এই নিরবতা ভাঙতে চাই। তারা কোথায় আটকে আছে এটা তাদেরকেই বলতে হবে। কেন এই দীর্ঘসুত্রিতা জানাতে হবে শিক্ষার্থীদের। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলছে, চলবেই।”
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট থেকে জকসুর নীতিমালা অনুমোদেন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তি প্রদানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২১ আগস্টও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই শিক্ষার্থীরা জকসুর রোড ম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দুই দিন আলটিমেটাম দেয়।
মন্তব্য