রাবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেছেন, আমাদের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব স্যারের কন্ঠে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার কন্ঠ আমরা শুনতে পাই। ওনি বলেন তাঁর গদি নাকি টান দিয়ে ফেলে দেওয়া যাবে না। আমরা মাননীয় উপাচার্যকে বলতে চাই আপনাকে দড়ি দিয়ে টান দিবো না সেই দড়ি দিয়ে আপনাকে বেঁধে রাখবো।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
সুলতান আহমেদ বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যরা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বে যারা আছেন যেভাবে শিষ্টাচার বিহীনভাবে তাঁরা ছাত্রদল সভাপতির নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে দিয়েছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সকল দালালদের বলে দিতে চাই আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীকে অবমাননা করেন নাই আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে অবমাননা করেছেন। ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, যারা যারা ইট মেরেছেন ইনশাআল্লাহ পাটকেল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিবে।
আওয়ামন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবি জানিয়ে সুলতান আহমেদ বলেন, আজকে আমরা ২১ জন দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছি। পরে বাংলাদেশপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে, আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আবার সন্ত্রাসী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করব। আমরা লক্ষ্য করছি এইসব শিক্ষকরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হতাম, তাহলে এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকরা এখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে হাঁটতে পারতো না। আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত এই সকল শিক্ষকদের গ্রেফতার করে, আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। না হয়তো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডসহ বিভিন্ন সড়ক হয়ে প্রসাশন ভবনের সামনে এসে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
এসময় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, বিভিন্ন বিভাগের ২১জন শিক্ষককে ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে (সিনেট ভবনের সামনে) একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।
মন্তব্য