![]()
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, শেখ মোঃ আরমান
গোপালগঞ্জ: (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) – আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ-১ আসনে (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম তাঁর নির্বাচনী প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তিনি গত বুধবার (৫ নভেম্বর) নিজ গ্রামে তাঁর প্রয়াত মা, বাবা ও বড় ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন। এই আবেগঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়েই গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির এই হেভিওয়েট প্রার্থী।
দীর্ঘ ২৫ বছরের নেতৃত্ব ও জনগণের আস্থাঃ
কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। ছাত্র রাজনীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে পরবর্তীতে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৯৮ সাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই সুদীর্ঘ পথচলা তাঁকে স্থানীয় রাজনীতিতে এক অবিসংবাদী নেতায় পরিণত করেছে। এর আগে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারঃ
কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সেলিমুজ্জামান সেলিম তাঁর অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, “এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ায় সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। একই সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। কাশিয়ানী-মুকসুদপুর জনগণের প্রতিও আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিএনপির পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করেছেন।”
এ সময় তিনি তাঁর মূল নির্বাচনী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দৃঢ়তার সাথে বলেন, “গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েই আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছি। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।”
তাঁর এই প্রচারণায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি সহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও উদ্দীপনা তাঁর প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।



মন্তব্য