মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার:
তীরে বসে আল্লাহ, যীশু, হরিনাম যপে, প্লাটুনে উঠে দীর্ঘ শ্বাস। আমলের পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি বিষ খালি নদীর দু ‘পারের জনগণের। ভুক্তভোগী জনগণ মৌন মিছিল করলেও গৌণ টনক নঢ়েনি সওজ কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে প্লাটুনের সংযোগ সড়ক তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন কাঠের চশমা পড়ে না দেখার ভান করছেন। অপরদিকে মা হারা সন্তানের মত চলা বাইনচোটকির ফেরিরচালক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় জনবল সংকটের অজুহাতে অদক্ষ চালক দিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে চলছে ফেরি।ভুক্তভোগী জনগণ বারবার সংস্কারের দাবি তুললেও কিঞ্চিৎ টনক নড়েনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের। স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা অতিরিক্ত পোশাক ব্যাগে রাখেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ছাত্র-ছাত্রী। মোরশেদা বেগম নামে এক পথচারী আক্ষেপ করে বলেন, পুরুষ মানুষ গামছা পড়ে পার হতে পারলেও মহিলাদের পার হতে হয় কোমর সমান জল পাড়ি দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে বছরের পর বছর ফেরি প্লাটুন এ সংযোগ সড়ক পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও শীতল কক্ষে অবস্থান করা কর্তৃপক্ষের নজর পড়েনি ওই বাইনচটকি-বরইতলা ফেরি ঘাটে। মাছের গাড়ি থেকে লাশের গাড়ি সহ দূরপাল্লার যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন দু’পাড়ে ভাটার অপেক্ষায় অপেক্ষমান দৃশ্য বহুদিনের পুরনো। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাগাল মেলেনি।
অদক্ষ কর্মচারী দ্বারা ফেরি চলাচল করার কারণে প্রায়ই সঠিক সময় পৌঁছাতে পারেন না স্কুল কলেজ ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেকটা খেয়া নির্ভর হয়ে পড়েছে পারাপার ইচ্ছুক সাধারণ যাত্রীরা। পট পরিবর্তন হয়েছে, ঘাট পরিবর্তন হবে কবে? এ প্রশ্ন খোদ ভুক্তভোগী জনগণের। ভরপুর যাত্রী ও নিয়মিত ভাড়া আদায়ের পরও যাত্রীরা যথাযত উপযুক্ত সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সংযোগ সড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে মাঝেমধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য ও ঔষধ সরবরাহ ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে। বিপদ সীমার উপরে ওঠা পানির ভিতর থেকে যান চলাচলের কারণে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে অনবরত। স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে একটু বেশি পানি হলেই যানবাহন খানাখন্দে পতিত হচ্ছে প্রায়ই । এর কারনে রোগীর গাড়িও পারি দিতে হয় বিকল্প পথে। এখন সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এ সমস্যা লাঘব হবে কবে?
মন্তব্য