সোমবার, ১২ মে ২০২৫
 

জাবি শিবিরের উদ্যোগে ৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিপ্রদান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫

---


জাবি প্রতিনিধি,

বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।


সোমবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়  শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রতিকূলতা লাঘব করতে শিক্ষাবৃত্তির উদ্যোগ নেয় জাবি শিবির। এই উদ্যোগের আওতায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ৫০০০ টাকা করে মোট ২লক্ষ টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেয় তারা।


বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘ শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হলেও শিক্ষার্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি রাষ্ট্র। এমতাবস্থায় শিবিরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় ‘


সভাপতির বক্তব্যে জাবি শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মপদ্ধতির চতুর্থ দফার অধীনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। আগামী দিনে আপনাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমাদের পাশে পাবেন। আমরা আমাদের যায়গা থেকে প্রশাসনের কাছে দাবী পৌঁছানো ও নিজেদের সাধ্যানুযায়ী সহায়তা করে থাকি।’


বিশেষ মেহমানের বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বাজেট রয়েছে শতকরা অর্থনীতির ১.৬৯ভাগ। এমতাবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব না। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ সরবরাহ করা প্রয়োজন। একটি জাতির অমূল্য রত্ন যুবসমাজ। আবু সাইদের মতো অসংখ্য যুবক জুলাইয়ে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ তাদের সৎ, যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার যথোপযুক্ত উদ্যোগ নেই। দিন শেষে আমাদের আত্মোসমালোচনা করা প্রয়োজন। শিবিরের ব্যক্তিগত রিপোর্টে আত্মসমালোচনার একটি কলাম আছে। বিগত সময়ের প্রতিবন্ধকতাগুলো এখন অনেকটাই নিরসন হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সকলের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’


উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সততা, দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতার কারনে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে। সফলতার জন্য সৎ,দক্ষ, খোদাভীরু ও দেশপ্রেমিক হওয়া জরুরি। আমি চবি’র ছাত্র হিসেবে দেখেছি, ১৯৮৫ সালের চাকসু নির্বাচনে শিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছিল। তাদের প্যানেলে একজন অমুসলিম প্রার্থীও ছিল। সমাজকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে তারা শিক্ষাবৃত্তির আয়োজন করেছে। আমি আশা করছি তাদের এ কাজ আরও বেগবান হবে এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধানে অগ্রগামী হবে’


উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘ইসলাম প্রচারিত হয়েছে পৃথিবীর সেরা একজন রাজনীতিবিদের মাধ্যমে। হুদায়বিয়ার সন্ধি, মদিনা সনদ ইত্যাদি তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সাক্ষী। ইসলামে ইনক্লুসিভিটিকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সুরা হুজরাতে বলা হয়েছে, সামাজিকতার কথা বলা হয়েছে। একজন মানুষ প্রকৃত মুসলিম হতে চাইলে সুন্দর আচরন ও গুণের অধিকারী হতে হবে। আমাদের শেষ গন্তব্য হলো মালিকের বিচার। সেখানে পার পেতে হলে কুরআন অনুসরণের বিকল্প নেই। যত বেশি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা যায় ততবেশি অমূল্য জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon