![]()
বাকৃবি প্রতিনিধি:
শিশুদের শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশ এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু-কেন্দ্রিক বিশেষ আয়োজন ‘আলোয় আগামীর পথে’। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে মা ন্যাশনাল স্কুল, কোলকাঠি, নড়িয়া, শরীয়তপুরে দিনব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানজুড়ে শিশুদের জন্য ছিল চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্যের মতো সৃজনশীল পরিবেশনা। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় একটি স্বাস্থ্য ক্যাম্প, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পায়। শিশুদের মৌলিক চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে তাদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী হিসেবে কলম, পেন্সিল ও খাতা বিতরণ করা হয়। রঙিন কাগজ, হাসি আর আনন্দে পুরো স্কুল প্রাঙ্গণটি এক উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডার্ন হারবাল গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলমগীর মতি।বিশেষ অতিথি হিসেবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর আরিফুজ্জামান রাজিব ও ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহির দাইয়ান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শরীফ মোহাম্মদ সাদাতসহ ফাউন্ডেশনের জেলা পর্যায়ের অন্যান্য প্রতিনিধি, স্থানীয় শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সৃজনশীলতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, গ্রাম ও প্রান্তিক এলাকার শিশুদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করে এবং সুস্থ প্রজন্ম গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহির দাইয়ান বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ। তাদের যদি আজ সঠিক যত্ন, শিক্ষা ও সুস্থ পরিবেশ দেওয়া যায়, তাহলে তারাই ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ‘আলোয় আগামীর পথে’ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা, মানবিকতা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বীজ বপন করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন শিশু-কেন্দ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এই আয়োজনটি ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিল মডার্ন হারবাল গ্রুপ অফ কোম্পানিজ। আয়োজকরা জানান, শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সৃজনশীল বিকাশ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরির লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।
শেষপর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সফল সমাপ্তি হয়। ‘আলোয় আগামীর পথে’ শিশুদের স্বপ্ন, যত্ন ও সৃজনশীলতায় আলোকিত আগামীর এক উজ্জ্বল বার্তা হয়ে উপস্থিত সবার মনে গভীর ছাপ রেখে যায়।



মন্তব্য