![]()
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫নং ছাত্রী হলে নবীনবরণ, হল সংসদ অভিষেক ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় হলটির কমনরুমে হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ মোহনার সঞ্চালনায় প্রগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উপহার প্রদান এবং হল সংসদে নির্বাচিতদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
এ সময় হল সংসদের সহ-সভাপতি শারমিন খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর আমাদের ১৫নং ছাত্রী হলে প্রথমবারের মতো নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান হচ্ছে—এটা সত্যিই আনন্দের। এই আয়োজনটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রভোস্ট শামীমা নাসরিন জলি ম্যামের জন্য—উনাকে ধন্যবাদ জানাই । হল সংসদ, শিক্ষকবৃন্দসহ যারা কষ্ট করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। সিনিয়রদের বিদায় আমাদের কষ্ট দেয়, কিন্তু তাদের বিদায় দিতে পারাও গর্বের। নতুন যারা এসেছে, তাদের জন্য এটা নতুন যাত্রা। সবাই ভালো থেকো, একে অপরের পাশে থেকো। আমরা একসাথে হলে একটা পরিবার, সেই পরিবার যেন আরও সুন্দর হয়—এই কামনা রইল।
ইতিহাস বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নিশাত আঞ্জুম বলেন, ক্যাম্পাস ইউটিউবে একবার দেখা হয়েছিল অনেক সুন্দর একটি ক্যাম্পাস। অবশেষে জাবিতে চান্স পেয়ে ভর্তি হতে পেরেছি। আর হল নিয়েও অনেক স্মৃতি হয়ে গেছে। কোনো একদিন সুযোগ করে স্মৃতিচারণ করবো। আমার জন্য দোয়া রাখবেন। আমি যেন সামনের দিনগুলো অনেক ভালোভাবে কাটাতে পারি।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রসায়ন বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের ফারজানা আক্তার বলেন, একজন জাবিয়ান হিসেবে আমি নিজের নামের সাথে জাবিয়ান শব্দটা যুক্ত করতে পারি, সেদিন থেকেই গর্ববোধ করি। ক্যাম্পাস নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে, অনেক স্মৃতি জমে আছে। ধন্যবাদ হল সংসদকে এবং হল কর্তৃপক্ষকে— প্রথমবারের মতো হলে একটা বিদায় অনুষ্ঠান এবং নবীন বরণের আয়োজন করার জন্য। আশা করি, এই আয়োজনটা প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আজ ১৫নং ছাত্রী হলের অভিষেক, নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান একসাথে হচ্ছে—এটা সত্যিই আনন্দের বিষয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এমন আয়োজন করতে পেরে আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। এই আয়োজন সফল করার জন্য প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীমা নাসরিন ম্যামকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এছাড়া হল সংসদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সকল সহযোগীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের সিনিয়রদের বিদায় কষ্টের হলেও, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিতে পারা একটা গর্বের বিষয়। নতুন যারা এসেছে, তাদের জন্য এটি সুন্দর সূচনা—তোমরা গর্বিত হতে পারো। সবাই ভালো থেকো, একসাথে আমাদের হলটাকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।



মন্তব্য