মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
 

বিধি সংশোধনের নামে ব্রাকসু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫

---
বেরোবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের বিধিমালায় অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের দাবি জোরালো হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের নির্বাচন বিধি সংশোধনের দাবিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বিধি সংশোধনের নামে নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত ও বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে কোন নিদিষ্ট মহল। কিছু শিক্ষার্থী হঠাৎ করেই বিধি সংশোধনের দাবি তুলেছে তবে এ দাবির যৌক্তিকতা দেখছেন না  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (ব্রাকসু) হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও এই বিষয় নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
বিধিমালার ধারা ৩(১) এ বলা হয়েছে, হল সংসদের নির্বাচনে শিক্ষার্থী বলতে সেই পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের বোঝানো হবে, যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন এবং বর্তমানে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নরত। শিক্ষার্থীরা অবশ্যই কোনো হলের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের আওতাভুক্ত হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংসদ থাকা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অপরিহার্য। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী বিধি সংশোধনের  অজুহাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কায়  শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রেজওয়ান বলেন, “আমরা ব্রাকসু নির্বাচন চাই, কিন্তু এখন কিছু নিদিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী হঠাৎ করে বিধি সংশোধনের আলোচনা তুলেছে। এটা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নতুন জটিলতা তৈরির একটা কৌশল বলেই মনে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাকিব বলেন, শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। বিধি সংশোধন নির্বাচনের পরেও হতে পারে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে এই বিধি সংশোধন করতে পারে।   কিন্তু বিধি সংশোধনের বিষয়টি যেন নির্বাচনের পথে বাধা না হয়, সেদিকে প্রশাসনের নজর রাখা জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ শাহরিয়ার রহমান বলেন,ব্রাকসু নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও সমস্যা নিয়ে কথা বলার একটা বৈধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। কিন্তু এখন যে বিধি সংশোধনের বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থী আলোচনা করছে, তা মূলত নির্বাচন বিলম্বিত করার অজুহাত মনে হচ্ছে। আমরা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, বিধি সংশোধন নিয়ে একটা গ্রুপ বিতর্ক সৃষ্টি করছে। আর একটা গ্রুপ এটাকে সাপোর্ট করছে। তারা আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে। তারা যে বিধি সংশোধন করতে বলছে তা আমাদের পক্ষে সংশোধন করা সম্ভব না। শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বৈষম্য করতে পারবো না। আর বিধি সংশোধন হলো সময় সাপেক্ষ এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত ছাড়া সম্ভব না। এখন নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে করতে হলে যে বিধিমালা পাশ করা হয়েছে ওইটার আলোকে নির্বাচন করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon