![]()
মোঃ শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কুমড়াকান্দি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলা জমি সংক্রান্ত বিরোধ, মামলা ও হামলার জেরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ পরিস্থিতিতে অবশেষে গোয়ালন্দ উপজেলা সার্ভেয়ার এসোসিয়েশনের ১৩ জন সার্ভেয়ার একযোগে আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমির পরিমাপ নির্ধারণ করেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সার্ভেয়ার দলটি কুমড়াকান্দি এলাকায় জমির সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করে।
পরিমাপ শেষে সার্ভেয়ার জালাল উদ্দিন বলেন,
“আমরা পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী আজ জমি পরিমাপ করেছি। ইকরাম মন্ডল ও হাসেন মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল, যার ফলে একের পর এক মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দাগ নম্বর ৪৩২১ ও ৪৩২২ এর সীমানা নির্ধারণ করেছি। দেখা গেছে, মোঃ হাসেন মন্ডল ৪৩২২ দাগে বাউন্ডারি তৈরি করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখল করে রেখেছেন। ঐ দাগের ওপর দিয়ে রাস্তা গিয়েছে এবং প্রায় ১৮ ফুট জায়গা কাশেম মন্ডল দখলে রেখেছেন।”
তিনি আরও বলেন, বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে একে অপরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আশা করি, আমাদের নির্ধারিত পরিমাপের মাধ্যমে এই দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সার্ভেয়ার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রব জানান,
“আমরা একটি ফিক্সড পয়েন্ট নির্ধারণ করে কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমির সীমানা মেপেছি। পুরাতন কাটা নকশার সঙ্গে তা মিলিয়ে নিশ্চিত হয়েছি পরিমাপে কোনো কারচুপি নেই। আমাদের এই পরিমাপকে উভয় পক্ষই গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর কোনো বিতর্ক থাকবে না।”
অন্য এক সার্ভেয়ার মোঃ মমিন উদ্দিন শেখ বলেন,
“আমরা উত্তর দিকে এক হাজার ফুট ও দক্ষিণ দিকে এক হাজার ফুট পর্যন্ত মেপে জমির পরিমাণ নিশ্চিত করেছি। দুটি মোজার সীমানা ফিক্সড করা হয়েছে, যার ফলে কে কতটুকু জমি ভোগ করবেন তা স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া একটি দাগের ওপর দিয়ে রাস্তা যাওয়ার বিষয়টিও আমরা সরেজমিনে পেয়েছি।”
ডিজিটাল পরিমাপের মাধ্যমে এই বিরোধপূর্ণ জমির সীমানা স্পষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা করছেন, এই উদ্যোগে দীর্ঘদিনের আইনি জটিলতা ও সামাজিক অশান্তির অবসান ঘটবে।



মন্তব্য