বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
 

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছিলেন বিএনপিপন্থী শিক্ষক নাহরিন খান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

---

জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ১৫ নং ছাত্রী হলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার এখতিয়ার তার নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র জানায়, ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ২১ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল। এ সেলের দায়িত্ব ছিল ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করা এবং কোনো অসঙ্গতি থাকলে কমিশনকে অবহিত করা। কিন্তু অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান ১৫ নং ছাত্রী হলে প্রবেশ করে ভোটারদের হাতে মার্কারের কালি উঠে যাচ্ছে—এমন অভিযোগের কথা বলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। পরে নির্বাচন কমিশনের সচিব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক করেন।সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা হলটির প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন জলি জানান, নিয়মানুযায়ী আমি ভোট গ্রহণে রুমে থাকতে পারিনা। সেজন্য নিজের অফিস কক্ষে ছিলাম। বেশ কিছুক্ষন পর দেখতে যেয়ে, শিক্ষার্থীদের মুখে শুনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান সোয়া এক ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বহির্ভূতভাবে বিনা অনুমতিতে মেয়েদের হলে ছেলেদের প্রবেশ করিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান বলেন, “আমি সেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। অসঙ্গতি দেখেই ভোটগ্রহণ বন্ধ করি।” তবে কমিশনের মতে, কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করার এখতিয়ার কেবল রিটানিং কর্মকর্তার, পর্যবেক্ষকের নয়। মনিটরিং টিম কেবল অনিয়ম শনাক্ত করে কমিশনকে জানাবে, এরপর কমিশন ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু অধ্যাপক নাহরিন তা না করে সরাসরি ভোট বন্ধ করেন।
জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খোঃ লুৎফুল এলাহী বলেন, মনিটরিং সেলের সদস্য নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন না। এই এখতিয়ার তার নেই। নির্বাচন বন্ধ করতে হলে রিটানিং কর্মকর্তা বা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে।এ বিষয়ে জানতে ওই হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
পর্যবেক্ষকের নির্বাচন বন্ধ করার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান বলেন, কমিশনের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে গেলে সেসময়ের মধ্যে জালিয়াতির সুযোগ ছিল এজন্য আমি আটকে দেই। আমি নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তারের অনুমতিক্রমে বন্ধ করেছি।

তবে অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এ দাবি নাকচ করেছেন। তিনি জানান, “ভোট বন্ধের সময় আমি কিছু জানতাম না। পরে প্রক্টরের কাছ থেকে শুনেছি। নাহরিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। সদস্য সচিবের সঙ্গে হয়তো তার কথা হয়েছিল।”

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon