মোঃ আমিনুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পুর গ্রামে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক চুরির ঘটনা। রাতের আঁধারে অজ্ঞাত চোরের দল ক্লিনিকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে, এবং চুরি করে নিয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, যার মধ্যে ছিল একটি ল্যাপটপ, মূল্যবান ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।
সকালে নিয়মমাফিক কর্মস্থলে এসে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজ এই করুণ চিত্রের মুখোমুখি হন। জানালার ভাঙা গ্রিল, এলোমেলো জিনিসপত্র আর শূন্য ওষুধের আলমারি যেন নির্বাকভাবে বলে যাচ্ছিলো গতরাতের নৃশংসতার গল্প।
একটি গ্রামের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে ওঠা এই ক্লিনিক আজ প্রশ্নের মুখে— এখন কি কমিউনিটি ক্লিনিকও নিরাপদ নয়?
যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য সাধারণ মানুষ চিকিৎসার আশায় আসে, সেখানে এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু পেশাগত দায়িত্বকেই নয়, মানবিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা ভাবতেই পারছি না, স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি পবিত্র জায়গাকেও আজ দুষ্কৃতিকারীরা রেহাই দিচ্ছে না। এটা শুধু চুরি নয়, এটা আমাদের বিশ্বাসের উপর আঘাত।”
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও ক্লিনিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। একজন চিকিৎসক, একজন সেবিকা, একজন রোগী — সকলেই আজ একটাই প্রশ্ন করছেন, “কতটা অনিরাপদ হলে এই দুর্বৃত্তরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও হামলা চালায়?”
এই চুরির ঘটনা শুধু একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের লুটপাট নয় — এটি একটি এলাকার মানুষের স্বপ্ন, নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা সেবার প্রতি আস্থা চুরমার করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ থানা কর্তব্যরত ওসি উবায়দুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি বলেন এই ঘটনার কোন অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য