সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রাস্তার গাছ কাঁটতে বাধা দেওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য এনামুল হক (৩০) কে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তারই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। উপজেলার তারাটি ইউপির বার কাহনিয়া এলাকার গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বতর্মানে এনামুল ময়মনসিংহ সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেনা সদস্য এনামুল হক (৩০) ওই একই এলাকার ময়নাল হকের ছেলে। তিনি কুমিল্লা সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন এবং এক মাসের ছুটিতে তার গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। এ ঘটনায় সেনা সদস্যের বড় ভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন : আঃ হাকিম (৩৫), জলিল (৫৫) খোরশেদ আলী (৩৫), শফিকুল ইসলাম (৪০) ফরহাদ হোসেন (৩০) আনার (৩০),মোস্তফা কামাল (৩৫) এবং রমজান আলী (২৫)।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ও ভূক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্তদের সঙ্গে এনামুলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমার বিষয়ে বিরোধ চলে আসতেছিল। ঘটনার দিন দুপুরে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে তাদের ভিটা জমির এবং রস্তার ১২টি মেহগনি,৪টি আকাশি এবং ০২টি ইউকেলেক্টর গাছ কাঁটতে আসেন অভিযুক্তরা। বিষয়টি দেখে রাস্তার গাছ কাঁটতে বাধা দেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে হাকিমের হুকুমে জলিলসহ বাকীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এনামুল বতর্মানে সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এদিকে,ময়মনসিংহ সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলিল,খোরশেদ আলী,শফিকুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার থানায় প্রেরণ করেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং বাড়িতে থাকা লোকজনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে সেনা সদস্যের পিতা ময়নাল হক বলেন,স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার ইন্ধনে হালিম ও জলিলসহ ১৫-২০ জন আমাদের ভিটা জমি ও রাস্তার গাছ কাটছিল।

এতে বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে তারা। এছাড়াও আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওদের ভয়ে আমরা বাড়ির থেকে বের হতে পারছি না। সন্তানের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেছেন এনামুলের মা এবং পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম জানান, অনুমতি ছাড়া রাস্তার গাছ কাটার সুযোগ নেই। রাস্তার গাছ কাটা বিষয়ে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবুও বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিপন গোপ বলেন,ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon