সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি :
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষ (২০২৩-২০২৪)সেশনের পরীক্ষার ফর্ম ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত সময়ে ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়ার পরও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সহকারী আতিক সময়মতো ভেরিফাই করেননি। সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি অন্যের মাধ্যমে তাদের জানানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য টাকা নিয়ে, দ্রুত ভেরিফিকেশন করেছেন। কিন্তু যারা বাইরে থেকে ফর্ম পূরণ করেছেন, তাদের প্রতি অবহেলা ও তিরস্কারমূলক আচরণ করা হয়েছে।
ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক হাসান জানান,আমাদের ফর্ম ফিলাপে লাস্ট ডেট ছিল ১১ তারিখ পর্যন্ত। আর ১৩ তারিখ পর্যন্ত কলেজ ভেরিফিকেশন এর ডেট ছিল। আমি ৯ তারিখ কমপ্লিট করেছি ফর্ম ফিলাপ।কিন্তু আমি জমা দিতে পারি নাই। ১১ তারিখ বিকেলে আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর অফিস সহকারী সোহাগ ভাইয়ের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে আমি আতিক ভাইকে পাঠিয়েছি। কিন্তু তিনি ভেরিফিকেশন করেনি। অন্য একজন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাড়ে তিনটায় ফরম ভেরিফিকেশন এর কথা বলে। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানায় কিন্তু কলেজ কর্তৃক ভেরিফিকেশনের ১৩ তারিখ পর্যন্ত ছিল তবুও তিনি ভেরিফিকেশন করেনি।
জানা গেছে, আতিক শুধু ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগই নয়, বরং বাংলা বিভাগসহ আরও দুইটি বিভাগের কম্পিউটার-সংক্রান্ত সব কাজও একাই করে থাকেন। ফলে একাধিক বিভাগের ভেরিফিকেশন ও অনলাইন কার্যক্রম এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও অনিয়মের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী আতিক জানান, িযে অভিযোগটা এসেছে তার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সে তার ব্যাক্তিগত ক্ষোভ থেকে করেছে। যে ছেলে অভিযোগটি করেছে তাকে আমি নিজেই হেল্প করেছি। সে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়,আমি সেটা দেখায় দিয়েছি। শুক্রবার আমার কাছে অফিস সহায়কের মাধ্যমে একটি পিডিএফ আসে। তখন আমি বলেছি এভাবে হবে না ম্যাডামের সিগনেচার লাগবে। তারপর ভেরিফিকেশন করতে পারবো। পরে রবিবার এসে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার বন্ধ। পরে আমি তাকে ফোন দিয়ে বলেছি,দুইজনের সমস্যা হয়েছে তারা জমা দিতে পারিনি হার্ডকপি।আমি একটি অ্যাপ্লিকেশন ফরমেট লিখে দিয়েছি তাদেরকে যে কিভাবে কাজ করতে হবে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভার খুলে দিলে আমি তাদের কাজটা করে দিই।
এছাড়াও তিনি জানান,টাকার বিনিময়ে এখন ফরম পূরণ করে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০২১ সালে যখন আমার কোচিং ছিল তখন ইসলাম ইতিহাস ছাড়া বাংলা,ইংলিশ, ইকোনমিক্স অনেক শিক্ষার্থীরাই ফর্ম পূরণ করতে পারত না তাদেরকে সহযোগিতার জন্য আমি পূরণ করে দিয়েছি। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পাসওয়ার্ড ভুলে যায় তখন সাহায্য করেছি।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এ ধরনের অনিয়ম পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কলেজ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য