মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় একযোগে সেতু ও সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২৫–২৬ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৯টি ব্রিজ এবং প্রায় ৩৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ব্রিজের সয়েল টেস্ট ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রিজগুলোর মধ্যে রয়েছে-রামপুর থেকে মোজাফ্ফর আলী কলেজ হয়ে বৈদ্যনাথপুর বাজার সড়কে ২০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু, ভাওরখোলা ও গোবিন্দপুর ইউনিয়ন সংযোগকারী সড়কে দুটি (৩৫ ও ২০ মিটার), আলগি-চেঙ্গাকান্দি-বটতলা সড়কে একটি ২৫ মিটার এবং ব্রাহ্মণচর-নোয়াগাঁও হয়ে বালুচর-কুরারঘাট সড়কে একটি ২০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ। এছাড়া রামপুর-মানিকারচর সড়কে আরও চারটি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেগুলোর প্রত্যেকটি ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের। এসব ব্রিজের অবস্থান চেইনেজ অনুযায়ী যথাক্রমে ৭৫৫, ২৭৮২, ৫০৯০ ও ৫৪৯০ মিটার পয়েন্টে। মে মাসে এ চারটি ব্রিজের সয়েল টেস্টের কাজ শেষ হয়।
শুধু সেতুই নয়, চন্দনপুর ও গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের মাটির গুণাগুণ পরীক্ষাও (Sub Soil Investigation) শেষ হয়েছে। ভবন দুটির নির্মাণকাজও শিগগির শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরেই এলজিইডির আওতায় পাঁচ থেকে সাতটি সড়কে সংস্কার কাজ শুরুর প্রস্তুতি রয়েছে। পাশাপাশি “কুমিল্লা প্রজেক্ট” নামের একটি নতুন প্রকল্পের আওতায় তিন বছরের মধ্যে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ২১টি সড়কে প্রায় ২২ কিলোমিটার নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ, ২টি সড়কে ৪ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ এবং সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক মেরামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাব অনুযায়ী আমরা মেঘনায় একাধিক ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। যেসব ব্রিজের সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর দাপ্তরিক অনুমোদন শেষ হলেই মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হবে। তাছাড়া এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে মেঘনার যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি।
মন্তব্য