যুগের কণ্ঠস্বর ডেস্ক
রাজপথে ছাত্রদের স্লোগানে কাঁপছিল শাহবাগ। লাল-সবুজ পতাকার মাঝে দাঁড়িয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উচ্চারণ করলেন এক কঠোর শপথ—
“আমরা কোনোদিনই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে এই দেশে রাজনীতি করতে দেবো না!”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে (৩ আগস্ট) তিনি বললেন, “আজকে আমাদের শপথ নেওয়ার দিন। আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, কারাগারে গিয়েছে — অথচ কেউ মাথা নত করেনি। এই সাহসিকতা আমাদের সামনে নতুন এক সূর্য এনেছে, যে সূর্য নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।”
স্বপ্ন ও শপথের মিশেলে বক্তব্য রাখেন তিনি, চোখে আগামীর নির্বাচনের আশা আর হাতে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ব্যাটন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা কখনোই একা ছিলে না, আজও একা নও। গোটা জাতি তোমাদের সঙ্গে আছে। তোমাদের ত্যাগ আমাদের আন্দোলনের মেরুদণ্ড।”
বক্তব্যে বারবার ফিরে আসে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ। কঠোর ভাষায় বলেন, “এই দেশের রাজনীতি আজ এক ফ্যাসিস্টের হাতে বন্দি। এমনকি প্রতিবেশী দেশে গিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়ে বসে আছেন, সেখান থেকেই হুমকি দিচ্ছেন, গোলযোগ তৈরি করছেন। কিন্তু আমাদের এই জমিনে তার রাজনীতির জায়গা আর নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মাথা নত করবো না। দেশকে কারও দয়ায় নয়, নিজেরাই গড়বো। এই গণঅভ্যুত্থানের শক্তি আমাদের পথ দেখাবে।”
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে মহাসচিব আশাবাদী কণ্ঠে বলেন—“আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আমরা প্রস্তুত। আমাদের নেতা, তারেক রহমান, বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। তিনিই নেতৃত্ব দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।”
সারা সমাবেশ জুড়েই ছিল রণসঙ্গীত, স্লোগান, আর দৃঢ় প্রত্যয়ের জোয়ার।
এই সমাবেশ শুধুই একটি বার্ষিকী নয়, ছিল ভবিষ্যতের জন্য শপথ নেওয়ার দিন — এক ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের পথে সাহসিকতার মঞ্চ।
মন্তব্য