মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্টাফ রিপোর্টার
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নে লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ ঐতিহাসিক প্রাসাদ? প্রায় সোয়া ৯ একর জমির ওপর নির্মিত শাপলেজা কুঠি বাড়ি হলো ব্রিটিশ আমলের এক নীরব সাক্ষী!
১৮শ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজ জমিদার এডওয়ার্ড প্যারি ক্যাসপার এই বিশাল কুঠি বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শোনা যায়, এক স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি তাকে এই জমি উপহার দিয়েছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এখানে ক্যাসপারের জমিদারি বিস্তার লাভ করে।
প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষভাগে এখানে বসতো জমজমাট পুণ্যাহ উৎসব! খাজনা আদায়, জাদু প্রদর্শনী, লোকগান, যাত্রা এবং নিমাই সন্ন্যাস পালা - সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হতো। প্রজাদের মনোরঞ্জনে ক্যাসপারের আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না।
মূল ভবনটি ছিল ১৮টি খিলানের ওপর নির্মিত ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতিতে গড়া এক দোতলা প্রাসাদ। তবে দুঃখজনকভাবে, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর এর দোতলা ভেঙে দেওয়া হয় এবং মূল্যবান অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। বর্তমানে এর শানবাঁধানো ঘাটসহ পুকুরটি জৌলুশহীন হলেও, প্রায় ২০০ বছরের এই কুঠি বাড়ি আজও ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমানে এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন। তবে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
আপনি কি কখনো শাপলেজা কুঠি বাড়ি ঘুরতে গেছেন? অথবা এর সম্পর্কে কোনো গল্প শুনেছেন? নিচে কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন! চলুন, আমাদের ইতিহাসের এই সুন্দর নিদর্শনগুলো আমরা সংরক্ষণ করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখি।
মন্তব্য