জাবি প্রতিনিধি,
জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকদের কোন রকম স্বার্থক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।
গত ২৮ এপ্রিল জাবি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর লেখা এক চিঠিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষক সমিতির একটি জরুরি সভা ডাকার আহ্বান করেন।
উক্ত চিঠিতে অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত ১৭-০৩-২০২৫ তারিখের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কোনোরূপ স্বার্থক্ষুন্ন হচ্ছে কি-না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষক সমিতির একটি জরুরী সাধারণ সভা ডাকার প্রয়োজন অনুভব করছি। অনুগ্রহ পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আপনাদের সবিনয় অনুরোধ করছি।’
শিক্ষকদের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, এর আগে অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক ও তার অনুষদের কিছু শিক্ষক জুলাই হামলার মদদদাতা অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজকে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে বাঁচাতে সেইফ-ইক্সিট দেওয়ার নানান কলাকৌশল খাটান। আওয়ামীপন্থি অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজের শিক্ষা ছুটির জন্য তদবির ও চাপ প্রয়োগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষকদের বিভিন্নরকম রাগ-ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা প্রকাশের যায়গা হচ্ছে শিক্ষক সমিতি। আমি সেসব শিক্ষকের বক্তব্য জানার জন্যই চিঠি দিয়েছিলাম। সাময়িক বহিস্কৃত অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজের শিক্ষা ছুটির জন্য তদবির করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের দেখা সাক্ষাৎ হলে বিভিন্ন ইনফর্মাল কথাবার্তা হয়। কেউ বহিস্কৃত শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির পক্ষে আবার কেউ বিপক্ষেও মতামত দিয়েছে’। আপনি শিক্ষা ছুটির জন্য তদবির করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়টা স্বীকার করছিনা আবার অস্বীকারও করছি না।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. সোহেল রানা বলেন, আমরা কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিনের পক্ষ থেকে এমন একটি চিঠি পেয়েছি। আমরা আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, বিচার প্রক্রিয়ায় যেন কোন শিক্ষক হয়রানির শিকার না হন। যেহেতু এটি একটি সেন্সিটিভ ইস্যু। আমরা এটিকে কোনভাবেই প্রভাবিত করতে চাইনা। এসব বিষয় আমাদের পদক্ষেপ নিতে হলে কার্যকরি পরিষদে আলোচনা সাপেক্ষে নেওয়া হবে।
মন্তব্য