খাদেমুল ইসলাম ফরহাদ, ইবি:
রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার মোজাম্মেল হকের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কটুক্তিকারীর বাসা ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামে।
জানা যায়, গত সোমবার রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করায় মোজাম্মেল হককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঐ কর্মকর্তার নেমপ্ল্যাট ভেঙ্গে প্রতিবাদ ও তার বহিষ্কারের আবেদন করেন আল হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনার তদন্তে বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগটি।
আবেদনে বলা হয়, মোজাম্মেল হক রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। তিনি রাসুল (সা.) কে নারীলোভী বলে সম্বোধন করেন- যার উপযুক্ত তথ্য-প্রমান বিদ্যমান এবং তিনি এলাকাবাসী কর্তৃক ধৃত হয়েছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তাই মোজাম্মেল হককে বিভাগ হতে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, বিভাগের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। এতে তারা তার বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানায়। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করার জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার। তদন্ত অনুযায়ী আমরা প্রশাসনের নিকট সুপারিশ করবো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার।
উল্লেখ্য, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসূলদের নিয়ে কটুক্তি করে আসছিল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে লোকজন তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা সাপেক্ষ্যে ছেড়ে দেয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এমএ রউফ খান।
মন্তব্য