শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
 

একটি স্টিল ড্রাম চুরির অপবাদ, যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৪

---

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা(বরগুনা) থেকে:একটি স্টিল ড্রাম চুরির অপবাদে সিফাত(২২) নামক এক যুবককে মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ৷ পাওয়া গেছে ।

পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মৃত অব: সেনা সদস্য সুলতান আহমেদের ছেলে সিফাত (২২) কে মুমূর্ষ অবস্থায় স্বজনেরা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সোমবার ভর্তি করেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় সিফাত যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। সঙ্গে তার মা কহিনুর বেগম এবং ভাবী নাজমা ঘটনার আকষ্মিকতায় আতঙ্কিত। তারা এঘটনার বিচার দাবী করেছেন। তবে সবার আগে দরকার সিফাতকে সুস্থ করে তোলা।

এর আগে রবিবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সিফাতকে ১০০ গজ দূরের চলোমান মাহফিল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে তার অন্ডকোষে পদাঘাত করে দুর্বৃত্তরা । এরপরে গাছের সঙ্গে বেঁধে কাফলা কচা আর স্টীল পাইপ দিয়ে এক এর পর এক বেধরক পিটুনি দেয় তাকে। এসময় শরীরে টর্চার চালিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়করে শিকারোক্তি আদায় করে বলে জানায় সিফাত। কন্ঠনালির উপরে উঠে পা দিয়ে পাড়ায়। সিফাত হাসপাতালের বেডে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরে। এসময় সে আরও জানায় “দম আটকে প্রায় মরেই যাচ্ছিলাম।” ওই রাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে ওরা আমাকে টক জাতীয় কিছু খাওয়ায়। সিফাত ও তার মা কহিনুর ভাবী নাজমা অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করে। এসময় সিফাতের একজন খালাতো বোন রহিমাও মুঠোফোনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং বিচার দাবী করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা হলেন,
সলেমান গাজী(২৮) পিতা-সেরাজ গাজী,সলেমান(২৮) রহমান(৪৫) উভয়ের পিতা কিতাব মোল্লা,রহিম মোল্লা পিতা-রহমান মোল্লা, রুবেল পিতা অজ্ঞাত, বেল্লাল(১৮)পিতা-ইউসুফ,শুভ(২০)পিতা-সাকিল আরও অপরিচিত ২জনের নাম জানাতে পারেনি সিফাত।

বিষয়টি প্রসঙ্গে কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম নাসির বলেন,এমন বর্বরোচিত একটা ঘটনায় আমি হতবাক হয়েছি।যে ছেলেটিকে মারা হয়েছে; সে ছেলেটি চোর না। ও একটা সহজ সরল ছেলে। অবশ্যই বিচার হতে হবে। আগে ছেলেটি সুস্থ হোক।

সিফাতের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ভাই পুলিশকে জানিয়েছে। আগে ছেলের চিকিৎসা তারপরে মামলা করতে চাই। আমি আমার ছেলের উপরে নির্যাতনের বিচার চাই।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon