শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
 

রাজবাড়ীতে ভিকটর ভিলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫

---

মোঃ শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা উজানচরে অবস্থিত ভিকটর ভিলেজের বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তদন্তে আসেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখার সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার সরেজমিন ভিক্টর ভিলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে চলতি বছরের ৮ মে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তার কাছে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেন। উজানচর ইউনিয়নের মইজদ্দিন মন্ডল পাড়া বেরিবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ভিকটর ভিলেজের বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণ, আবাদী জমি ধ্বংস, বসতভিটা দখলের অভিযোগ করেন।

 

মইজদ্দিন মন্ডল পাড়া, মাখন বাবুরচর, ছব্দুল খার পাড়া, সইজদ্দিন মাতব্বর পাড়া, মইজ উদ্দিন মোল্লার পাড়ার ২৭৫জনের গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগের অনুলিপি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিপ্তরের মহাপরিচালক, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ৩০টি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

 

অভিযোগে আবাদি কৃষি জমি নষ্ট করে ভিক্টর ভিলেজে মুরগির খামার গড়ে তোলা, মুরগির বিষ্ঠা হতে সৃষ্ট দুর্গন্ধ, খামারের ময়লা আবর্জনা দ্বারা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সীমানা প্রাচীর না থাকাসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা না থাকা, যত্রতত্র মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা, মরা মুরগী, নষ্ট বাচ্চা, পচা ডিম ধ্বংসের ব্যবস্থা না থাকা, স্যাঁতস্যাঁতে আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসে রোগ ছড়ানোর কথা বলা হয়।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রব বলেন, ভিকটর ভিলেজের কারনে অনেক আবাদি জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলায় আমাদের তিন ফসলি জমির উর্বরতা কমে গেছে। আগের মতো অনেক জমি এখন আর চাষাবাদ করাই যায় না।

 

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আশপাশের কৃষিজমি দখল করে প্রতিষ্ঠানটি সেড নির্মাণ করেছে। রাতের আধারে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করায় জমি দখল হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমির সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করি।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে ভিকটর ভিলেজের সত্ত্বাধিকার মো. রহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার নিজের জমিতেই সেড নির্মাণ করেছি। প্রয়োজনে দেশের সবচেয়ে যারা ডিজিটাল সার্ভে করে তাদের দিয়ে সার্ভে করে দেখুক। কিছু কুচক্রী মহল আমার ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।’

 

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখা) ইয়াসমিন আক্তার হাঁটতে থাকে। এসময় তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। সাংবাদিকরা এসময় তার কাছে কয়েকবার বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি হেটে হেটে বলেন,  ‘অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে পরিদর্শনে এসেছি। এটা নিয়ে যখন আদেশ দেই, কি আদেশ দিলাম তখন হয়তো রিপোর্ট হতে পারে। এখন কি রিপোর্ট হবে?

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon