আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
একটা সময় ছিল যখন শিবিরকে হ’ত্যা করার বৈধতা দেয়া হয়েছিল বা শিবির করলে হ’ত্যা করা বৈধ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক এবং ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির কতৃক আয়োজিত শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাদিক কায়েম তার বক্তব্যে বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্র শিবির ছিল সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিশ্বজিৎকে আমরা শিবির সন্দেহে হত্যা করতে দেখেছি। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর শিবির সন্দেহে কাউকে মারার বৈধতাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে তখনও মারার পর কেউ শিবির প্রমাণিত হলে সকলে এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকতো।”
তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্র শিবির জুলাই পরবর্তীতে সময়ে ছাত্র রাজনীতির মডেল ছিল।এজন্যই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের নির্বাচিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন,
বিতর্ক মানুষকে ভাবতে শেখায়। বিতার্কিকরা পরিক্ষার খাতায় ভাল লিখে এবাং এরা সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা, জ্ঞান নির্ভর সমাজ ও মানুষ তৈরি করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এই কাজ চালিয়ে যাবে।
জকসু নির্বাচনে এই সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দিবে’ এই মোশনের উপর বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় ইতিহাস বিভাগ বিরোধী দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর সরকারি দল হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রানার্স আপ হয়েছে। ফাইনাল বিতর্কে জয়ী দলের রুকসানা মিতু সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন। বিতর্কটি ট্যাব ফরমেটে অনুষ্ঠিত হয় এবং ট্যাব পর্বে প্রত্যেক টিম ৩ রাউন্ড বিতর্ক করার সুযোগ পায়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে শহীদ সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী দর্শক-শ্রোতা হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য