আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কলকাতার নিউ টাউনে নাকি এখন শুধু ফুচকা নয়, “ফিরোজ ভাইয়ের ইলিশ ভর্তা” আর “কচি ভাইয়ের তেহারি”ও পাওয়া যাচ্ছে! কারণ? আওয়ামী লীগের কিছু ‘ভিআইপি আশ্রয়প্রাপ্ত’ নেতা নাকি পশ্চিমবঙ্গে পার্মানেন্ট বসবাস শুরু করে ফেলেছেন!
এ নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক আবাসন প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করলেন, কলকাতা এখন “ঢাকা-২” হয়ে উঠছে। নাম না করলেও, ইঙ্গিত এমন—নিউ টাউনের কিছু ফ্ল্যাটে বসেই নাকি ‘নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি’ আর ‘ঢাকায় ফিরে গিয়ে কোন নেতা কী বলবে’ সেই মহড়া চলেছে।
মমতা রীতিমতো বিস্মিত কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়লেন, “বাংলায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশি হয়ে যাবে নাকি? তাহলে তো আমিও কাল থেকে ঢাকার মেয়ে হয়ে যাব!”
তিনি আরও বলেন, “ভারত সরকার নাকি তাদের অতিথি হিসেবে রেখেছে। অতিথি তো ভালো কথা, কিন্তু এরা আবার তিন বেলা হোটেল-লাঞ্চে অভ্যস্ত! খরচটা কে দিচ্ছে?”
কলকাতার কনফিউশনে থাকা নাগরিকরা এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন:
“পাড়ায় নতুন কেউ এলে এখন প্রশ্ন করি—সিলেট না খুলনা?”
এদিকে, নিউ টাউনের রিকশাচালকদের নতুন ভাষাগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এক চালক জানান:
“ভাই, আগে বলত বেহালায় চলেন। এখন বলে ধানমণ্ডি-মতিঝিল! ভাই এটা কোন রুট?”
মমতা এদিন রোহিঙ্গা নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, “বিজেপি বলছে ১৭ লাখ রোহিঙ্গা আছে! ১৭ লাখ তো ভারতেই জন্ম নেয়নি! তারা কি উবার ধরে এলো?”
শেষে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলা ভাষার অপমান মেনে নেব না। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা, আর বাঙালি—সব এক করে চালিয়ে দিচ্ছে! এই রামগরুড়ের ছানা রাজনীতি চলবে না।”
আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে বার্তা—দয়া করে রাজনীতির পাশাপাশি পাঁঠার রেজালা শেয়ার করুন, কলকাতার জনগণেরও মুখে তো জল আসে।
মন্তব্য