মো. শামীম হোসাইন, পিরোজপুর
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিখোঁজের একদিন পর মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ (৬৮) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শহরের কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠের সভামঞ্চ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাসির উদ্দিন মঠবাড়িয়া কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ৩১ মে শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
তার বাড়ি উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম হাওলাদারের ছেলে এবং সাবেক বিআরডিবি মহাপরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিনের বড় ভাই।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে নাসির উদ্দিন তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকার বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
রাতেই তার ছেলে রিয়াজ উদ্দিন মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন রবিবার শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে তার সন্ধান চাওয়া হয়।
এ দিকে রবিবার বিকেলে স্থানীয়রা কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের মাঠের সভামঞ্চে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহের মাথা থেঁতলানো ছিল এবং আশপাশে রক্ত পড়ে ছিল। মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তিনি কোনো সহিংস ঘটনার শিকার হয়েছেন।
নিহত শিক্ষকের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাবাকে ঘুম থেকে তুলে দিই। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়ি যাবেন। এরপর আর তার খোঁজ পাইনি। বিকালে বাবার মরদেহ পাওয়া গেল। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত ও রক্ত ছিল। এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমি থানায় জিডি করেছি। এখন সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।’
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি অপমৃত্যু না হত্যাকাণ্ড তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এটি হত্যামামলায় রূপান্তর করা হবে।
মন্তব্য