মাহফুজ রাজা, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
নদীর তীরে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে মুগ্ধ ভ্রমণকারীরা। স্বাভাবিক ভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর ব্রম্মপুত্র নদের তীরে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম।নদের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ বামতীরের প্রতিরক্ষা বাঁধ ও ডান তীরের কাশবন ফসলী সবুজ মাঠ তার মাঝে নতুন চর স্থানীয়দের দেয়া নাম আল-কুবা চরের গ্রামীণ প্রকৃতি সৌন্দর্যের মনোমুগ্ধকর অঞ্চলটি ভ্রমণপিপাসুদের নজর কেড়েছে।
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের ওপর উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করছে। দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে হবে কর্মসংস্থান ও দুরীকরণ কমবে বেকারত্বের। দারিদ্র্য দুর্দশা বিমোচনে সফল হবে দেশ। বিভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও শিল্প, সাহিত্য, কালচার প্রথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঐতিহাসিক স্থান দেখার জন্যও ভ্রমণপিপাসুরা নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে দূর-দূরান্ত ছুটে চলেছে নিত্যদিন।
সাহেবের চর গেলে অপরুপ সৌন্দর্য চোখে পড়ে। কখনো চোখে পড়েছে নদের সৌন্দর্য, মুগ্ধ করছে ব্লকের উপরে আচড়ে পড়া স্বচ্চজলের মৃধু উত্তাল ঢেউ ও ঐপারের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য।
ব্রম্মপুত্র নদের ইতিহাস ও ভূমিকা এ গ্রামের জীবনযাত্রার, কৃষি কাজ এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার সাথে গভীর ভাবে জড়িত। স্থানীয় জনসাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও নদীর তীরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত, যা পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
নদীর জলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন- মাগুর, রুই, কাতলা,বোয়াল এবং আরো নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। একসময়ে ভাঙগনের কবলে পড়া ভিটামাটি হারানো মানুষগুলি এক সাথে নদের ডানতীরের চরে বসবাস করে এক ঐতিহ্যের সৃষ্টি করেছে। সরকারি স্বীকৃতি না থাকলেও তারা একটি গ্রামের সৃষ্টি করেছে নাম দিয়েছে আল কুবা নতুন চর।যেখানে সামাজিকতার সবকিছুই বিদ্যমান গ্রামের জীবনযাত্রা ও অপার্থিব সৌন্দর্য মুগ্ধ করে ভ্রমনপিপাসুদের।
মন্তব্য