আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও বিভিন্ন সংবাদের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন নিকট গেলে তিনি বলেন, ‘লিখিত দাও’। এছাড়া বক্তব্যের জন্য রেজিস্টারকে ফোন দিলে তা ধরেন তার পিএস, কখনো বা সহযোগী রেজিস্ট্রার।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এর নিকট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জকসু) গঠনতন্ত্র প্রণয়নের বিষয়ে বক্তব্য চাইতে গেলে জাগো নিউজ এর রিপোর্টার মোঃ তৌফিক হোসেনকে তিনি বলেন, ‘লিখিত দাও’।
এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেক সাংবাদিক রেজিস্ট্রারের নম্বরে কল দিলে ফোন ধরেন রেজিস্ট্রারের পিএস। বলেন, “স্যার ব্যস্ত আছেন। ” এছাড়া গতকাল বুধবার সংবাদের জন্য বক্তব্য নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের খবর পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জান্নাতুন নাইম একাধিকবার কল দিলে ফোন দিলে রিসিভ করেন একজন সহকারী রেজিস্ট্রার। ফোন ধরে তিনি বলেন,” স্যার আছেন, তবে ব্যস্ত আছেন। “
এর আগে একই পরিস্থিতির শিকার হন কালবেলার প্রতিবেদক তানজিম মাহমুদও। জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে গেলেও তাকে ‘লিখিত’ দিতে বলেন রেজিস্ট্রার। এই প্রতিবেদক জানায় আমি কালবেলার রিপোর্টার পরিচয় দিলে তিনি বলেন, কালবেলা বা সকালবেলা যেই হও পরে আসো।
এর আগে খবরের জন্য মন্তব্য চাইতে গেলে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রতিবেদককে হয়রানি এবং ফোন রিসিভ করেন না রেজিস্ট্রার। একইদিন তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন জবির ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীবের সঙ্গে।
ডেইলি স্টারের রিপোর্টার রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমি তথ্য অধিকার আইনে শিক্ষকদের বিষয়ে তথ্য নিতে আবেদন করেছিলাম। সাড়ে তিন মাস সে আমাকে ঘুরিয়েছে। ফোন দিলে ধরেন না। আমাকে হয়রানি করেছে। সাড়ে তিন মাস পরে তিনি আংশিক তথ্য দেন। এখন তিনি আর আমার ফোন রিসিভ করেন না।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, প্রশাসনের সকলে সকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। সকলে তো সমান হয় না। তোমাদের কোনো তথ্য নেওয়ার থাকলে তোমরা লিখিত দিয়ে নিও। তবুও তার সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে কথা বলবো।
মন্তব্য