বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
 

জহির উদ্দিন বাবরের ছাত্রত্ব কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে হাইকোর্টের রুল জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫

---

জাবি প্রতিনিধি,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবরের ছাত্রত্ব কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না— জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।


গত ৪ জুন  বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।


গত ২৭ মে উচ্চ আদালতের দুই আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল সাঞ্জু ও মো আরিফুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, জাবি রেজিস্ট্রার ও রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের আলোকে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার ফলস্রুতিতে ৪জুন উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবরের ছাত্রত্ব কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না— এটি ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের থেকে জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।


এর আগে, ফ্যাসিবাদী আমলে অন্যায়ভাবে শিক্ষাগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনে গত ২২ মে জাবি ছাত্রদল আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য  ও রেজিস্ট্রার বরাবর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন।


উপাচার্য বরাবর লেখা আবেদনে বাবর বলেন, ‘২০১৪ সালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন  ছাত্রলীগ আরো বেশি বেপোরোয়া এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আরো বেশি অসহনশীল হয়ে ওঠে। যারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমার রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা হল থেকে ডেকে এনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী আসিফ (রসায়ন-৩৯) এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রসায়ন বিভাগের সামনে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। হাঁড় ভাঙ্গা ও হাঁড় কাটা মারাত্মক জখম করে। যার খবর ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতায় এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি এবং নির্যাতনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারি নাই। যার ফলশ্রুতিতে আমি আমার নিয়মিত স্নাতকোত্তর (২০১৩-১৪) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। এর পাশাপাশি সাভার ও আশুলিয়া থানায় আমার নামে ৪টি মামলা করা হয়। ফলে, আমার শিক্ষাজীবন চালানো আর সম্ভব হয়নি।


আইনজীবী মো আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তার মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি। এবং খুব দ্রুতই ইতিবাচক ফল পেয়েছি।’


জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, ‘শিক্ষা আমার মৌলিক অধিকার। কিন্তু অন্যায়ভাবে এটি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আশা করছি আমি দ্রুতই ছাত্রত্ব ফিরে পাব।’


 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon