চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সাইফুল ইসলাম
দু’পক্ষের বিরোধের মুখে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণের আদেশ পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের আদেশ বাতিল করে পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে ফের কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা। ফলে আর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা হলো না প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (স্থানীয় সরকার শাখা) এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত শিকলবাহা ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-২ জাহাঙ্গীর আলমকে পরিষদ পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। এ আদেশ কপি হাতে পাওয়ার পর থেকে শিকলবাহার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ, পথসভা করে তিনি গত রবিবার ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করার ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলমকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের অনুসারীরা ৬ জুন শিকলবাহার কলেজবাজার থেকে মইজ্জ্যারটেক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। উক্ত প্রতিবাদ সভা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে গত রোববার সকালে জাহাঙ্গীর আলম ইউনিয়ন পরিষদে আসার আগেই সকাল ৯টা থেকে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পরিষদের সিঁড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন একদল ছাত্র-যুবক। একই সময়ে শিকলবাহা কলেজ বাজার এলাকায় দু’পক্ষই অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বাধার মুখে আর পরিষদে যাওয়া হয়নি জাহাঙ্গীরে। বসা হয়নি পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে।
মন্তব্য