খাদেমুল ইসলাম ফরহাদ, ইবি :
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক অবস্থান, কার্যক্রম, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈবিছাআ) খুলনা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল চারটায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা পুরাতন নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট, যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খান, মাগুরার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, ঝিনাইদহের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, নড়াইলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মেহেদী ও কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে নেতারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই গণঅভ্যুত্থানে আমরা হারিয়েছি প্রায় দুই হাজার শহীদ ভাই এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছে প্রায় লক্ষাধিক তরুণ ছাত্র জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক লেজুর বৃত্তিহীন একটি ছাত্র সংগঠন। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিরা প্রভাব দেখাচ্ছে।
এতে যেসকল নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের প্রার্থীতার সুযোগ রাখলেও ভোটাধিকার ব্যবস্থার কোন সুযোগ রাখেনি, যা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য। এছাড়া জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে যারা এখনো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকেও প্রার্থিতা ও ভোটাধিকার এর সুযোগ রাখেনি।
নেতারা আরও বলেন, যে সকল আপামর ছাত্র জনতা বিশেষ করে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা কারিগরি প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীসহ যারাই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজেকে উৎসর্গ করেছিল তাদের সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে অরাজনৈতিক ও লেজুড়বৃত্তিহীন- ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্ত মুক্ত একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যেখানে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নির্বাচন কমিশনার হতে পারবে না, জেলার নেতৃবৃন্দকে প্রার্থীতার পাশাপাশি ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে এবং যেসকল কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কোন রাজনৈতিক দলে নেই তাদের কে প্রার্থীতা ও ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে গত ১৬ জুন এনসিপি নেতা লুৎফর রহমান কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। একমিটির অন্যরা হলেন এনসিপি নেতা ওয়াহিদ উজ্জামান ও মোহাম্মদ রাকিব। আগামী ২৪ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য