শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
 

চার প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিএসটিআইয়ের জরিমানা-মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫

 

---

কে.ডি পিন্টু (চট্টগ্রাম ব্যুরো) :

বিএসটিআই চট্টগ্রাম  বিভাগীয় অফিস ও র‍্যাব-৭ এর সাথে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়  মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আদায় ও মামলা দায়ের করেছে। বুধবার (২৮ মে) জনাব আবু হাসান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর, কুর্মিটোলা, ঢাকার-এর নেতৃত্বে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম-এর সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ি ও সীতাকুণ্ড এলাকায় একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

 

উক্ত মোবাইল কোর্টে ০৪টি মামলায় মোট ৩,৩০,০০০/- টাকা আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্টে   সিটি ডিপার্টমেন্ট স্টোর, এপোলো শপিং কমপ্লেক্স, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানকে পণ্য মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণব্যতীত আমদানিকৃত বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য এবং শিশুখাদ্য বাজারজাত করার অপরাধে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’ অনুসারে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বর্ণিত পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।

 

শপিং ব্যাগ সুপারমার্কেট, চট্টেশ্বরী রোড, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানটিকে আমদানি ছাড়পত্র ব্যতীত শিশুখাদ্য বিক্রয় করার অপরাধে ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্ত্ততকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ অনুসারে ১,৮০,০০০/- জরিমানা করা হয়।

এছাড়া সেফওয়ে মার্ট, চট্টেশ্বরী রোড, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানকে পণ্য মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণব্যতীত আমদানিকৃত বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য এবং শিশুখাদ্য বাজারজাত করার অপরাধে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’ অনুসারে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

 

এছাড়াও আর্চিস গ্যালারি, ভিআইপি টাওয়ার, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য সংরক্ষণ করার অপরাধে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ অনুসারে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

 

এবং মেসার্স বার আউলিয়া অয়েল সাপ্লাইয়ার্স, ঘোড়ামারা, ফকিরহাট, সোনাইছড়ি, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদনব্যতীত বিটুমিন পণ্য ড্রামজাত করে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করছে৷ মালিকপক্ষ অনুপস্থিত থাকায় উপস্থিত কর্মচারীদের জিম্মায় ও স্থানীয় পুলিশের তদারকিতে জব্দকৃত বিটুমিনের ড্রামগুলো হস্তান্তর করা হয়। উপরন্তু বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিএসটিআই কর্তৃক বিটুমিনগুলো টেস্ট করার জন্য নমুনা সিল করা হয় এবং পরবর্তীতে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের শেষ পর্যায়ে জব্দকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রীসমূহ ধ্বংস করা হয়।

 

প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম-এর কর্মকর্তা প্রকৌ. মো. আবদুর রহিম, ফিল্ড অফিসার (সিএম) ও প্রকৌ. প্রিময় মজকুরী জয়, পরীক্ষক (মেট্রোলজি) দায়িত্ব পালন করেন।

জনস্বার্থে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই চট্টগ্রাম  বিভাগীয় অফিস।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon