রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
 

উদ্ভোদনের তিন মাসেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি জামালপুর জেলা মডেল মসজিদ

মাহবুবুর রহমান জিসান
প্রকাশ: ৬ মে ২০২৩

---

রুমান শাহরিয়ার,জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
উদ্বোধনের তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি জামালপুর জেলার দৃষ্টিনন্দন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ফলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সময় প্রচণ্ড গরমে মুসল্লিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কাজে আসছে না অত্যাধুনিক জেনারেটর ও সোলার প্যানেল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি ভিডিও কনফরেন্সের মাধ্যমে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি উদ্বোধনের পর থেকেই ধর্মপ্রাণ শত শত নারী-পুরুষ সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চার তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। মসজিদটি নির্মাণ কাজ করেন মেসার্স তমা কন্সট্রাকশন। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের দিন থেকে ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় একটি বিকল্প লাইনের মাধ্যমে মসজিদে বিদ্যুৎ সঞ্চালন চলছে। অস্থায়ী সে লাইনটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সূত্র জানায়, মসজিদের নিচ তলায় রয়েছে বিদ্যুতের সাব স্টেশন, একটি শক্তিশালী অত্যাধুনিক জেনারেটর, পুস্তক প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের কার্যালয়, গ্যারেজ। আর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মহিলাদের নামাজ পড়ার সংরক্ষিত জায়গা আর ছাদে রয়েছে সৌর বিদ্যুত প্যানেল।
মহিলা মুসল্লিদের অভিযোগ, তাদের ফ্লোরে নেই প্রয়োজনীয় কার্পেট, ফলে খালি ফ্লোরে নামাজ পড়তে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমে তাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। তাদের অভিযোগ, মসজিদে মহিলাদের জন্য নামাজের স্থান করা হলেও মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে মাত্র একটি ফটক। ফলে শুক্রবারে জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় নারী-পুরুষ ঠাসাঠাসি অবস্থার সৃষ্টি হয়।
মসজিদে কর্মরত কর্মচারীরা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মসজিদের ৪৫ মেট্রিক টন এসি মেশিন কোনো কাজে আসছে না। চালু করা যাচ্ছে না অত্যাধুনিক জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুত প্যানেলটিও। বিদ্যুৎ চলে গেলে নামাজের আজান পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয় না।
ইসলমামিক ফাউন্ডেশনের অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বের কাচারী শাহি জামে মসজিদ ভেঙে সেই জায়গায় নির্মাণ করা হয় জামালপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। পুরাতন মসজিদে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ১০ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় একই স্থানের নতুন সংযোগ দিচ্ছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড- পিডিবি। মুসল্লিদের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য বিকল্প হিসেবে নিচ তলায় রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক জেনারেটর আর ছাদে বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এর কোনোটাই কাজে আসছে না।
জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, বিদ্যুতের টাকা জমা হয়ে গেছে। এখন সংযোগ দেওয়ার দায়িত্ব বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহিবুল আজাদ রুবেল ঢাকা মেইলকে বলেন, জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১১ হাজার ভোল্টের লাইন করা হচ্ছে। এজন্য লোড অনুমোদন হয়েছে। মিটারিং ইউনিটের জন্য ঢাকায় ফাইল পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হয়ে এলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon