শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
 

বাকৃবিতে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উৎসব অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫

---

সুমন গাজী, বাকৃবি প্রতিনিধি:

 

‘ফিলিপিন্সে লাল সবুজ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৫’ এর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পর্বের উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

 

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ জীববিজ্ঞান  উৎসবের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন কক্ষে আয়োজন করা হয়। এ বারের জীববিজ্ঞান উৎসবে ৩ ক্যাটাগরিতে  ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি, সেকেন্ডারিতে নবম-দশম শ্রেণি ও হায়ার সেকেন্ডারিতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

 

উৎসবে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের যুগ্ম সম্পাদক ও ল্যাব বাংলার প্রধান নির্বাহী অনিরুদ্ধ প্রমাণিক, বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো হাবিবুর রহমান প্রমানিক, কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এইচ এম সাগর, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো গোলজার হোসেন, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জোনায়েদুল হোসেন আকন্দ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ রুকন উদ্দিন, আবু আব্বাস কলেজের সহকারী প্রফেসর মো. নাজমুল কবীর সরকারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ সহযোগী হিসেবে ছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজ ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস)।

 

পরীক্ষা পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ময়মনসিংহ অঞ্চলের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো সবিবুল হকের সসভাপতিত্বে বিভিন্নভাবে বিভাগের শিক্ষক ও সেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়াটা মুখ্য নয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ মূল বিষয়। এই উৎসবের ফলে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু জানতে পারবে, নতুন আগ্রহ তৈরি হবে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনষ্ক হিসেবে গড়ে উঠবে। যা দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

 

প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) জাতীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় আবাসিক ও অনাবাসিক বায়োক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত চারজন প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। তারা ‘টিম বাংলাদেশ’ হিসেবে আগামী ২০-২৭ জুলাই ফিলিপাইনের কুইজন সিটিতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon