উপজেলা প্রতিনিধি,নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভূমিসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসীর মাহফুজ। সরকারি সময় শেষ হলেও তিনি রীতিমতো গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে থেকে নামজারি ও ভূমি-সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিষ্পন্ন করছেন।
নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী ভূমি সেবার জন্য সকাল ১০ থেকে ৫টা পর্যন্ত নামজারি ও অন্যান্য ভূমি সেবা কার্যক্রম চললেও নামজারির কাজ দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়ে, গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি ফলে জমির মালিকানা সংক্রান্ত দীর্ঘসূত্রিতা এবং দালালচক্রের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে এসেছে। ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা এখন দ্রুততম সময়ে নামজারি ও অন্যান্য সেবা পাচ্ছেন।
একাধিক সেবা গ্রহীতা জানিয়েছেন, অতীতে একটি নামজারি কাজ শেষ করতে একাধিকবার অফিসে যেতে হতো এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। এখন অনেক আবেদন ৭-৯ কর্মদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.শাহনেওয়াজ বলেন, “আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। রাত ১১টায় অফিসে গিয়েও দেখি স্যার নিজে ফাইল দেখছেন, সই করছেন। এখন আর দালালের দরকার হয় না।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসীর মাহফুজ জানান, “ভূমিসেবা জনগণের অধিকার। আমি চেষ্টা করছি, যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন। তাই অতিরিক্ত সময় দিয়ে, গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। এটা আমার দায়িত্বের অংশ হিসেবেই দেখি।”
তিনি আরও বলেন, “ভূমিসেবাকে দ্রুত ও নির্ভুল করতে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করছি। আবেদন থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করছি।”
সরকারের ‘ভূমি ডিজিটালাইজেশন’ উদ্যোগের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন আন্তরিকতা যুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন প্রকৃত অর্থে ভূমিসেবার সুফল পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে অনলাইনে নামজারি, খতিয়ান, মিউটেশন ইত্যাদি সেবাকে সহজ ও দ্রুত করতে ভূমি মন্ত্রণালয় যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নের উদাহরণ হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা।
মন্তব্য