মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন: স্টাফ রিপোর্টার
বিষখালী নদীর পশ্চিম পাড়ে বামনা উপজেলা এবং পূর্ব পাড়ে বেতাগী উপজেলার অবস্থান। মাঝখানে জেগে উঠা চরটি বামনা উপজেলার রুহিতা গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘেষে জেগে উঠায় নামকরণ করা হয় “রুহিতার চর”। রুহিতার চরের পূর্বাংশের একাংশ বেতাগী উপজেলা সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমাংশের চরাংশ বামনা উপজেলার নদী সীমানায় অবস্থিত ।
পাকিস্তান আমল থেকেই জেগে উঠা চরে দুই উপজেলার মধ্যে-সীমানা নির্ধারণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে, দুই-এক বছর পর পরই ঘটে মারপিট ও হাঙ্গামা। প্রায়ই দেখা যায়, বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ও কালিকাবাড়ী এলাকার লোকজন দলবল নিয়ে চরে এসে ফসল কেটে নিয়ে যায়,
অথবা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে বলে দাবি করেন বামনা উপজেলা লোকজন। কখনো কখনো তারা বামনা এলাকা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে আটকে রাখে ও মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন ভাবনা উপজেলার বাসিন্দারা। সমস্যাটি নিয়ে বহু দেন-দরবার করেও কোন সু’ফল হয়নি।
সম্প্রতি বামনার কৃষকদের দ্বারা রোপিত পাঁচ একরের অধিক ভূমিতে করা ধনচে গাছসহ নানা ধরণের উঠতি ফসল বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি করে বলে বামনা উপজেলার লোকজন অভিযোগ করে। তারা জোর পূর্বক জমি চাষ করার প্রচেষ্টা নিলে বামনার কৃষকেরা ধাওয়া করলে দেখিয়ে দেবার হুমকি প্রদান করে দলবল নিয়ে কেটে পড়ে।
এভাবে বেপরোয়া আচরণ চলতে থাকলে মারাত্মক বিবাদ ও হাঙ্গামা ঘটতে পারে জানিয়েছে বামনা উপজেলার লোকজন এবং অনাকাঙ্খিত খুন-জখমের ঘটনা ঘটতে পারে। এক পর্যায়ে রুহিতার চরে হতে পারে বড় ধরণের সংঘাত ও প্রাণহানি।
তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক মনে করে সেখানকার বাসিন্দারা । উভয় উপজেলার নদী সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছরের অবস্থান বিবেচনায় চলতি বছরের জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা দরকার বলে দাবি করে উভয় এলাকার জনগন।
মন্তব্য