জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৪২–তম বার্ষিক সভায় দাওয়াত পেয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ চিহ্নত আওয়ামী দোসররা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা।
জানা যায়, আগামীকাল শনিবার ( ২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সিনেট সদস্য হিসাবে দাওয়াত পেয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ ও আওয়ামীলীগের মনোনীত গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন মোল্লাসহ জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষকেরা।
আমন্ত্রিত আওয়ামী দোসরেরা হলেন, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, অধ্যাপক তপন কুমার শাহা, অধ্যাপক শফিক উর রহমান, অধ্যাপক এ এ মামুন ও অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান ও জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল। তারা সরাসরি জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধীতা করেন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার মদদ দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাবি শাখা শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, ‘সিনেটের নামে আমরা আওয়ামী পুর্ববাসন মেনে নিব না। আমাদের বলতে লজ্জা হয় যে উপাচার্য নিজেকে গণঅভ্যুত্থানের প্রোডাক্ট দাবি করে, তিনি কীভাবে চিহ্নিত আওয়ামী দোসর ও গণঅভ্যুত্থানে বিরোধীতা কারীদের সিনেটে আমন্ত্রণ জানান। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আওয়ামী পুর্ণবাসনের চেষ্টা জাবি শিবির কোন ভাবেই মেনে নেবে না।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘ জাবি প্রশাসন যদি মনে করে তারা কালকের সিনেট অধিবেশনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগদের পুর্ণবাসন করবে তাহলে আমরা তাদের ছেড়ে কথা বলব না। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই কোন ভাবেই সিনেটে আমরা আওয়ামী দোসরদের মেনে নেব না।’
এর প্রতিবাদে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের দাওয়াত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। জুলাই হামলায় জড়িত কিংবা ফ্যাসিবাদের কোন দোসর যদি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে, তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করব।’
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সারা দেননি।
মন্তব্য