মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও:
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমার জগৎটা এখন রাজনীতির, কিন্তু আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে কোনদিনই নই। আমি সব সময় মনে করি খেলাধুলা ক্রীড়াঙ্গন এগুলো সব সময় রাজনীতি মুক্ত হওয়া উচিত। যারা যোগ্য তারা খেলবেন এবং সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যারা মাঠে থেকে খেলেন তাদের হৃদয়টা অনেক বড় হয় এটা প্রমাণিত। এবং দেখা যায় সেখানে ক্ষুদ্র দল মত এগুলো নিয়ে কোন বিভেদ থাকে না।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেটের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচীব বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অনেক প্রাণ গেছে, আমাদের অনেক ছাত্র জীবন দিয়েছে। তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে আমাদের একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে, একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করবার জন্য এবং সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য পরিবেশ নতুনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, গত পনের বছরে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে এটাকে নতুন করে গড়ে তোলার। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত ক্রিয়া অঙ্গনকেও ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রিয়াঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইন্টারন্যাশনাল টিমের খেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আনা যায় কি না সেই চেষ্টা করতে হবে। তাহলে খেলোয়ারদের মান বাড়বে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশ টাকে গড়ে তোলার জন্য যে শপথ নিয়েছি সেভাবেই ক্রিড়াঅঙ্গন কেউ রক্ষা করতে হবে, নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক নুর এ শাহাদত স্বজন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস সহ প্রমুখ।
মন্তব্য