কে.ডি পিন্টু (চট্টগ্রাম ব্যুরো) :
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।
উপদেষ্টা আজ কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এইসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি জুম চাষে ভুট্টা,সবজি,হাঁস, মুরগি পালন,মাছচাষসহ বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বহুমাত্রিক কাজেই তাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কৃষক হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলায়, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়। সার ও বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায় সংগত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। এই মৌসুমে বোরো ধানের ব্যপক চাষাবাদ হয়েছে।সরকার আশা করছে দেশে এইবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে।
মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ , জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা,কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণফুলী,জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অনুসন্ধান বিভাগের সহকারী পরিচালক সাখওয়াত কবির এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য