নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে এক নারীর খপ্পরে পরে এক যুবক ওয়াসিম আকরাম খুইয়েছেন তার ৩০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মতিঝিলে। জানা গেছে, গত দুই বছর আগে যাত্রবাড়ির হোটেল বলাকায় শামসুন্নাহার ওরফে মুন্নির সাথে পরিচয় হয় ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে ওয়াসিম আকরামের। সেখান থেকে ফোন নাম্বার আদান প্রদানের মাধ্যমে ভাল লাগা থেকে ভালবাসায় পরিণত হয়। তবে সামসুন্নাহারের সেই ভালবাসা ছিল লোক দেখানো। আবাসিক হোটেলে থেকে দেহ ব্যবসায়ের পাশপাশি কাষ্টমার হিসেবে আসা ধনীর দুলালরাই তার প্রধান টার্গেট। তাদের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়াই তার মূল লক্ষ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়াসিম আকরামের এমন লক্ষ সফল করতে সম্পর্কের দুই মাস অতিবাহিত হলেই বিয়ের প্রস্তাব দেয় যুবকের কাছে। তখন মাথায় কোরান শরীফ নিয়ে বিয়ের পরে আর কোনদিনও কারো কাছে দেহ বিক্রি করবেনা বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহর কোরান নিয়ে যখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুবক ওয়াসিম আকরামের কাছে। আকরাম তখন তার কথায় বিশ্বাস এনে দুজন দুজনকে বিয়ে করে। এরপর মিরপুরে শামসুন্নাহারারের বাসায় থেকে যায়। বিয়ের পর ঐ বাসার ভাড়া সেখানে এক রুমে বৃষ্টি নামে তার আগের এক বান্ধবি আর অন্য রুমে শামসুন্নাহারের ১ম স্বামী আফজাল বসবাস করত। কিন্তু যুবকের বিয়ের পর শামসুন্নাহারের বাসায় গেলে আফজাল তার পাশের রুমে বৃষ্টির সাথে স্বামী পরিচয় থাকত। যাতে ভুক্তভোগী যুবক কিছু বুঝতে না পারে। মূলত এটাই শামসুন্নাহারের ব্যবসা। আফজাল তাকে দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর দেহ ব্যবসা করিয়ে আসছে।
এখানেই শেষ নয়, সামসুন্নাহারের রয়েছে ১ম সেলিম, ২য় আব্দুস সামাদ ৩য় আব্দুস সাত্তার মিয়া নামে তিন ভাই। তারাও সামসুন্নাহারের সাথ জড়িত রয়েছে বলে ভুক্তভোগী যুবক দাবী করেন। এর আগে আফজালের সাথে সংসার করা অবস্থায় ফারুক আহমেদ শুভ নামে তার আরেক স্বামী ছিল। তার সাথে টাকা পয়সা নিয়ে দ্বন্ধ থাকায় তাকে তালাক দেয়। এরপর কয়েক মাস অতিবাহিত হলে শুভর সাথে পূনরায় যোগাযোগ রক্ষা করে তার সাথেও রাত কাটায়। এভাবে যুবকের সাথে দের বছর পর সংসার করার এক পর্যায়ে গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ইং জানতে পারে আফজাল নামে তার এক স্বামী ও ৮ বছরের এক সন্তান রয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে সামসুন্নাহারের কাছে ওয়াসিম আকরাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা আমার বান্ধবী বৃষ্টির জামাই তুমি যেটা শুনছ সেটা সঠিক নয়। এমতাবস্থায় চলার পর একদিন ২য় স্বামী ঐ শুভর সাথে দ্বন্ধ হওয়ার পর পরই শুভর সাথে সামসুন্নাহারের সাথে বিভিন্ন সময়ে তোলা কিছু ছবি তৃতীয় স্বামী ওয়াসিম আকরামের কাছে দেয়। এরপর সামসুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার ভাই এখানে আমাকে ভুল বুঝনা তুমি। তবে গোপন এক অনুসন্ধানে তার নামে বেনামে স্বামীর কোন হিসেব নেই।
হাতিয়ে নেয়া টাকার যত লেনদেন
বিয়ের পর থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা এবং আরো হাত খরচ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা নিত, এ ছাড়াও প্রথম দিকে বড় অংকর কোন টাকা না দিলেও তার মেয়ে সারা ইসলামের অসুস্থতার কথা বলে একবার নেয় ৭০ টাকা। এভাবে ঐ যুবক আকরামের কাছ থেকে হাতিয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগীর দেয়া কয়েকটি ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে অভিযোগর সত্যতা দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বরের হাতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সামসুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমেই সাংবাদিকের আইডি কার্ড চান, এর পর তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিককে এক প্রকার হুমকি দিয়ে বলেন, ওয়াসিমের সাথে আমার পরিচয় আছে ঠিক তবে তিনি আমার স্বামী না। আমার স্বামী একটাই তিনি হলেন আফজাল। তবে সামসুন্নাহার ২য় স্বামী ফারুক হোসেন শুভর কথা স্বীকার করলেও তার ১ম স্বামী শুভর কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হোটেল বলাকার দালাল বিশাল ঐ হোটেলে যাওয়া আসার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এর সঠিক বিচার চাই । ভবিষ্যতে আমার মত কোন ছেলেকে যেন সামসুন্নাহার না ঠকাতে পারে। তার মুখোশ উম্মোচন করা উচিত।
আরো আসছে বিস্তারিত…………….
মন্তব্য