কে.ডি পিন্টু (চট্টগ্রাম ব্যুরো):
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), চট্টগ্রাম বিভাগে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও দালালচক্রের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বিআরটিএ মেট্রো-২ সার্কেল, চট্টগ্রাম জেলা অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ছদ্মবেশে এনফোর্সমেন্ট টিম বিভিন্ন কাউন্টার পরিদর্শন করে এবং সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে।
অভিযান চলাকালে বিভাগীয় পরিচালক কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করায় মেট্রো সার্কেল-২ এর উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরীর কাছে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। বিশেষ করে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ ও রোড পারমিট প্রদানে দালালদের যোগসাজশে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।
পরিদর্শনের সময় জনৈকা তানহা আক্তার মিলি (স্বামী: দ্বীন মোহাম্মদ দিনার, পুলিশ সার্জেন্ট, ট্রাফিক উত্তর বিভাগ, সিএমপি, চট্টগ্রাম) এর নামে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রেজিস্ট্রেশনকৃত একটি মোটরযান (চট্টমেট্রো-ছ-৭১-০৭১৬) মাইক্রোবাস হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরীর কক্ষে উপস্থিত হয়ে তার স্বামী দিনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অনুমোদন ব্যতিরেকে গাড়ির ধরণ পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
অভিযান শেষে দুদকের চট্টগ্রাম-১ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, অভিযানে প্রাপ্ত রেকর্ড ও তথ্য বিশ্লেষণ করে শিগগিরই কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মন্তব্য