শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
 

কাঁঠালিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর মারধর লুটপাট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১ মে ২০২৫

 

---

কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর মারধর ও মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলা সদরের বটতলা বাজারের এ ঘটনা ঘটে।

এসময় প্রতিবন্ধি নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


ভুক্তভোগী মো.হারুন অর রশীদ জানান, শ্বশুরের নিকট থেকে জমি কিনে সেই জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে আছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছানে বসতঘর নির্মাণ করে সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। সারা না দিলে পরে দরজা ভেঙ্গে বেশ কয়েকজন মুখোঁশ পড়া দূর্বৃত্ত ভিতরে ঢুকে তাকে রশি দিয়ে বেধে এবং তার ছেলে মেহেদী হাসানের মুখে টেপ পেচিয়ে খুটির সাথে বেধে অন্য সবাইকে জিম্মি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এসময়  স্বর্নালংকার ও  মালামাল লুটে করে দূর্বৃত্তরা। এক পর্যায় প্রতিবন্ধিসহ নারীদের মারধর করে। স্থানীয় প্রভাবশালী নাসির উদ্দিন সরোয়ারের নির্দেশে লোকমান খান, সাকির হোসেনসহ স্থানীয় সন্ত্রার্সীরা এ ঘটনায় ঘটায় বলে জানান তিনি।


এ ব্যাপারে ফয়সাল হোসেন জানান, আমার পিতা আ: গনি হাওলাদার আমাকে ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। আমি সবার ছোট হওয়ায় আমাকে লালন পালন করার জন্য আমার বোন রোজিনা বেগম ও তার স্বামী হারুন অর রশীদকে ও ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। তিনি আমাকে লালন পালন তো করেননি বরং আমার ৬ শতাংশ জমি জোর পুর্বক দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছেন। আমি বোন ভগ্নিপতির কাছে হাজারও বার ধর্না দিয়েও জমির বুঝ পাইনি। বাধ্য হয়ে এ জমি স্থানীয় নাসির উদ্দিনের নিকট বিক্রি করেছি।


সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন সরোয়ার জানান, যে জমিতে এ ঘটনা ঘটেছে ওই জমি কবলা ও পৈত্রিক সুত্রে মালিক ফয়সাল হোসেন। তিনি আমার নিকট এ জমি বিক্রি করেছেন। জমির দখল নিয়ে ফয়সালের সাথে বোনের ঝগড়া ফ্যাসাদ হতে পারে তাতে আমার কোন ভুমিকা নেই। আমি যতটুকু জানি ফয়সালের বোন ফয়সালের জমি দীর্ঘদিন ধরে জোর পুর্বক দখল করে রেখেছে।


বটতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জানান, বাজারের ব্যবসায়ী হারুন ও তার শ্যালকের মধ্যে জমি নিয়ে দ্ধন্ধ চলছে। ফয়সাল বার বার আমাদের কাছে আসে। আমরা হারুনকে মিমাংশায় বসতে বললে তিনি কোন কর্নপাত করেননি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে ভাংচুর করেছে তা দেখেনি।


কাঁঠালিয়া থানার ওসি মংচেনলা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon