সোমবার, ২০ মে ২০২৪
 

পাথঘাটায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দালালের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪

---

মোঃ জিয়াউল ইসলাম

বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত জীবন এবং সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়নের জলিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরঘাটা প্রেসক্লাব ও উপজেলা প্রেসক্লাবে ভিন্ন ভিন্ন লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংবাদম্মেলন করেছেন জলিলের প্রতারনার স্বীকার হয়ে সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে ফিরে আসা মিজানুর রহমান। এসময় প্রতারণার শিকার হওয়া আরো ৬টি আসহায় পরিবার উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগীরা জলিল চৌধূরীর কাছে অর্থ ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে কান্নায় ভেঙে পরেন তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে প্রতারক জলিল চৌধুরীর মিস্টি কথায় ভুলে যান তারা। বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে নগদ টাকা তুলে দেন জলিলের হাতে।

এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তারা জানান, জানান, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মামুন মিয়া, মো. সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছে তারা। ঠিক মতো খেতেও পারছে না। ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক ওখানে নিজেরাই খেতে পারছে না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।

সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে জলিলকে জানালে তিনি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।

আরেক ভুক্তভোগী ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে। আমি জলিলের খপ্পরে পড়ে সব খুয়াইছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী বিদেশ নোয়ার কথা স্বীকার করলেও তাদের মানবেতর জীবন জাপনের কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না। ইকামা না দেয়ায় তাদেরকে পুলিশ জেলে পাঠাচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান আমার উপস্থিতিতে অনেকেই জলিলের কাছে টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই আবার অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছি।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon