![]()
জাকির হোসেন
ঝালকাঠির রাজাপুর–কাঠালিয়া অঞ্চলের পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম জামাল মনে করেন, রাজনীতি তাঁর কাছে ক্ষমতার বিষয় নয়; এটি মা ও মাটির প্রতি দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। মানুষের সুখ–দুঃখ, হাসি–কান্না ও স্বপ্নের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করাই তাঁর রাজনীতির মূল ভিত্তি। স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি মানবিক, সহজ–সরল এবং জনবান্ধব নেতা হিসেবে সুপরিচিত।
মানুষের সঙ্গে মিশে থাকার রাজনীতি
পদ–প্রতিপত্তির আড়ালে না থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি মিশে চলাই তাঁর অভ্যাস। গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো এবং সংকটে দ্রুত সহযোগিতা করার মানসিকতা তাঁকে মানুষের আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, “আমার রাজনীতি মানুষের হাসি, কান্না, দুঃখ ও স্বপ্নকে কেন্দ্র করে। আমি এই মাটির সন্তান, তাই মানুষের সেবাকে নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।”
মানবিকতার জন্য প্রশংসিত
স্থানীয় মানুষের ভাষায়, যেকোনো বিপদে প্রথম ছুটে যান তিনি। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করা, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা সহযোগিতা, দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ানো—এসবই তাঁর প্রতিদিনের দায়িত্বের অংশ হয়ে উঠেছে।
এক প্রবীণ কৃষক বলেন, “তিনি আমাদের ঘরের ছেলে। সমস্যা বললে শোনেন, সাহায্য করেন। আজকাল এমন নেতা পাওয়া খুবই কঠিন।”
উন্নয়ন ভাবনায় অটল
রাজাপুর–কাঠালিয়াকে আরও এগিয়ে নিতে পরিকল্পিত উন্নয়নকে তিনি অগ্রাধিকার দেন। তাঁর উন্নয়ন ভাবনায় রয়েছে—শিক্ষার মান উন্নয়ন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য করা, যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন
তাঁর ভাষায়, “উন্নয়ন এমন হতে হবে, যা মানুষের জীবনে সরাসরি পরিবর্তন আনে।”
দল–মত–নির্বিশেষে জনপ্রিয়তা
রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হলেও ব্যক্তি হিসেবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা দলমতের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। নম্র আচরণ, শিক্ষিত মনোভাব, চরিত্রবান স্বভাব এবং সকলকে সম্মান প্রদর্শনের কারণে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সমানভাবে প্রিয়।
স্থানীয় মানুষের মতে,“তিনি যখন কথা বলেন, সম্মান নিয়ে কথা বলেন; বিরোধী দলের লোকজনকেও সম্মান দেন।”
মা, মানুষ ও মাটির প্রতি তাঁর অটল নিবেদনই রফিকুল ইসলাম জামালকে রাজাপুর–কাঠালিয়ার মানুষের আস্থার প্রতীক করে তুলেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের ভালোবাসাই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি, আর এই ভালোবাসা নিয়েই তিনি এগিয়ে যেতে চান আরও অনেক দূর—জনগণের আরও কাছাকাছি।



মন্তব্য