শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
 

মাইনুল ইসলাম (আহাদ) ৪৫তম বিসিএস উত্তীর্ণ — এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫

---

 

জাকির হোসেন

গর্বিত পিতা: হাজী মো. আলমগীর হোসেন খান (ওরফে আলমগীর হাজী) বাবার হৃদয়ের দোয়া যেন নতুন আলোর সৃষ্টি করেছে। পিতা আলমগীর হোসেন খান আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলেন—“আল্লাহ পাকের শুকর — আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আজ আমার ছেলে ৪৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছে। আপনারা আমার ছেলে ও আমার জন্য দোয়া করবেন। দেশ ও দশের প্রতি, মাটি ও মানুষের প্রতি তার দায়িত্ববোধ যেন আরও দৃঢ় হয়।”

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা গ্রামের সন্তান মাইনুল ইসলাম (আহাদ) ৪৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে এলাকার গর্ব বাড়িয়েছেন।

সংক্ষেপে তথ্য দিয়েছেন জাকির হোসেন।

 

৪৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া — স্বপ্ন ও অধ্যবসায়ের ফল

২০২৫ সালের ১৮ জুন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (PSC) যখন ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে, তখন তালিকায় উঠে আসে ৬,৫৫৮ জন প্রার্থীর নাম। সেই সৌভাগ্যবানদের একজন হলেন মাইনুল ইসলাম আহাদ।

 

তার জন্য এই সাফল্য শুধু একটি তালিকায় নাম নয়—এটি দীর্ঘ প্রস্তুতি, অধ্যবসায়, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও অদম্য পরিশ্রমের প্রতিফলন।

 

প্রস্তুতি, পরিশ্রম ও প্রত্যাশার গল্প

 

প্রিলিমিনারি থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষা—প্রতিটি ধাপে ছিল দিনরাত পরিশ্রম, অজস্র রিভিশন, নতুন তথ্য শেখা এবং আত্মবিশ্বাসকে দৃঢ় করার লড়াই। তিনি জানতেন প্রতিযোগিতা কঠিন, কিন্তু তার বিশ্বাস ছিল—পরিশ্রম কখনো বিফল হয় না। PSC ফলাফল প্রকাশের দিন নিজের রোল নম্বর তালিকায় দেখে তিনি বুঝলেন— স্বপ্নের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম হলো।

 

উত্তীর্ণ হওয়া — শুধু নম্বর নয়, দায়িত্বের সূচনা

৪৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণের অর্থ শুধু সরকারি চাকরির সম্ভাবনা নয়; এটি দেশসেবার নতুন দায়িত্ব, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার শপথ।

মাইনুল জানেন— তালিকায় নাম ওঠা শেষ নয়, বরং শুরু। এখন সামনে রয়েছে ভাইভা, তারপর চূড়ান্ত নিয়োগ।

 

স্বপ্ন, প্রতিজ্ঞা ও ভবিষ্যতের পথচলা

এই সাফল্য তিনি উৎসর্গ করেন— পরিবারকে, বন্ধুদের, শুভাকাঙ্ক্ষীদের এবং সেই সকল মানুষকে যারা তার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন।

তিনি স্বপ্ন দেখেন— নিজের যোগ্যতা, সততা ও দায়িত্ববোধ দিয়ে দেশের মানুষের সেবা করবেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon