সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
 

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বাগছাসের মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫

---

জাবি প্রতিনিধি

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার পাদদেশে কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন শাখা বাগছাসের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য-সচিব ও কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসুর) সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব ও জাকসুর কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতি।

 

তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সেনাবাহিনীও বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে কুলষিত হয়েছিল। তাদের বিপথগামী কিছু সদস্য রাষ্ট্র শক্তির অপব্যবহার করে গুম, খুন, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ অহোরহ করে গিয়েছে। ফ্যাসিবাদ পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার অধীনে সেনাবাহিণীতে থাকা অপরাধীদেরও আনতে হবে। তাদের বিচার না হলে জুলাই পূর্ণতা পাবেনা।

 

কর্মসূচীতে শাখা বাগছাসের সদস্য ও জাকসুর কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী আমাদের সেনাবাহিনী। তাদের সমর্থনে জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে। সেনাবাহিনীর যারা জাতীয় বীর তাদের মূল্যায়ন করা হউক। তবে বিগত সময়ে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য গুম, খুন, হত্যা ও লুণ্ঠনের সাথে জড়িত ছিল। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সোপর্দ করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হউক। আগামী দিনে কেউ বাংলাদেশ পন্থার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

 

শাখা বাগছাসের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা বলেন, আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা গুম ও খুন করিয়েছে। আমাদের আফসোসের সাথে বলতে হচ্ছে, গুম, খুনের সাথে যেসব কর্মকর্তা এবং তাদের আন্ডারে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে ব্যর্থতা এবং অপারগতা দেখা যাচ্ছে। আমরা গোয়েন্দাদের বলতে চাই আপনারা জামাত-বিএনপি নেতাকর্মীদের অজপাড়াগাঁ থেকে খুঁজে খুঁজে আনতে পারেন, কিন্তু অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের খুঁজে পাচ্ছেন না! আওয়ামী লীগ এবং গোয়েন্দাদের কঠিন হুঁশিয়ারি সুরে বলতে চাই, যারা এসব নাটক খেলতেছেন, ছাত্রসমাজ বুঝে। আপনারা আদালত থেকে ছাড় পেলেও ছাত্র সমাজ থেকে ছাড় পাবেন না। দীর্ঘ ১৫ বছরে নির্যাতিত বিএনপি-জামাত নেতাকর্মীরাও মুখে কুলুপ এঁটে আছে, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। সে জায়গা থেকে আমরা বলতে চাই, আমরা যারা ভুক্তভোগী এবং আপামর জনগণের সময় এসেছে এ বিষয়ে কথা বলার। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের বিচার নিশ্চিত হচ্ছে।

 

শাখা বাগছাসের সিনিয়র সদস্য সচিব এবং জাকসুর সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, আমরা গুম কমিশনের রিপোর্টে দেখেছি কীভাবে বিরোধী মতের মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বাসা থেকে তুলে এনে বছরের পর বছর আয়না ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। নারীদেরকে আয়না ঘরে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তবে বিগত হাসিনা সরকার তাদের কিছু অফিসারকে রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক সেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায়া জারি করেছে। আমরা চাই তাদের বিচার মার্শাল কোর্টে নয় বরং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে হউক।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon