সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি:
আজ ২৯ জুলাই ২০২৫ বেলা ১১ টায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ডিবেটিং ক্লাবের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে যুক্তির শাণিত ধারায় সেরা হয়ে উঠেছে ‘টিম মহাপ্রলয়’। তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ, সুসংগঠিত বক্তব্য ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ উপস্থাপনায় তারা পরাজিত করে প্রতিপক্ষ ‘টিম শিখা’-কে।
কলেজের শহীদ সাংবাদিক মেহেদী হাসান অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুখোমুখি হয় দুই শক্তিশালী দল—মহাপ্রলয় ও শিখা।
মহাপ্রলয় দলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আলিফুল ইসলাম আলিফ, আয়শা মনি ও মুহাম্মদ আল আমিন। অপরদিকে শিখা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সাবরিনা সুলতানা, জাবের ও আইরিন। চূড়ান্ত রাউন্ডে উভয় দলের মাঝে চলে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ যুক্তি-পাল্টাযুক্তি, যেখানে শেষ পর্যন্ত বিচারকমণ্ডলীর রায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম মহাপ্রলয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াছমিন, ডিবেটিং ক্লাবের চিফ মডারেটর অধ্যাপক নাসিমা আক্তার, অফিসার্স কাউন্সিলের সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছাঃ আছমা আক্তার বেলী।
কলেজের উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন:-
এই ধরনের সৃজনশীল ও গঠনমূলক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে তোমরা নিজেদের দক্ষ করে তুলছো এবং একজন মানসম্মত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছো। এতে করে তোমরা জীবনমান উন্নয়নের পথেও অগ্রসর হচ্ছ। যেমন পাঠ্যবইয়ের পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে তোমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছো, তেমনি এসব সৃজনশীল সংগঠনের মাধ্যমেও আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি আওলাদ জিসান, সহ-সভাপতি আশিকা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা সুলতানা, ফাহিম মুনতাসীর, আজিম ও আবির হোসাইন প্রমুখ।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও রানারআপ দলের বিতার্কিকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, চূড়ান্ত পর্বে সেরা বিতার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হন টিম শিখা-র সদস্য ও ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সাবরিনা সুলতানা।
এই আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছিল কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি যুক্তি, বিবেক ও মত প্রকাশের একটি উৎসব—যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হয়ে ওঠে আরও চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং সামাজিকভাবে সচেতন।
মন্তব্য