শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
 

মিসেস নিলুফার উৎসর্গে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫

---
সাংবাদিক জাকির হোসেন
বাল্যকিশোর কৈশোর স্বামীর সংসার থেকে শুরু করে নন গভর্মেন্ট অর্গানিজেশনে কর্মদক্ষ পরিচয় স্বাবলম্বী অর্জন করেছেন, নিলুফা ইয়াসমিন।
পারিবারিক ভূমিক্ষয় চাকুরীর জয়ের চির অটল।

“প্রকাশিত মনীষী নারী” — এই শিরোনামটি একটি কবিতা, প্রবন্ধ বা আর্টিকেলের মতো শৈলীতে লেখা যেতে পারে। নিচে একটি গদ্যধর্মী প্রবন্ধ দেওয়া হলো, যা আপনি সাহিত্যিক, সাংবাদিক বা শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করতে পারেন:

প্রকাশিত মনীষী নারী

মানবজাতির ইতিহাসে পুরুষদের পাশাপাশি যাঁরা আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক বিশাল অংশ নারী। তারা শুধু ঘরের ভিতর বন্দি থাকেননি, কখনো বিদ্রোহ করেছেন, কখনো প্রেমের পথে হয়েছেন উৎসর্গ, আবার কখনো জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্প বা রাজনীতির মাঠে রেখেছেন উজ্জ্বল ছাপ। এমনই এক একটি উজ্জ্বল নাম— প্রকাশিত মনীষী নারী।

তাঁরা কোনো এক কালে সমাজের রক্ষণশীল বাঁধা-ধরা গণ্ডির বাইরে এসে কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন জাগরণের সুর। বেগম রোকেয়া, যিনি এক হাতে লেখনী, অন্য হাতে নারীশিক্ষার দীপ্ত আলো নিয়ে এগিয়ে গেছেন; অথবা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় জড়িত মেরি কুরি, যিনি নারীত্বের সীমা ভেঙে পদার্থবিজ্ঞানে দু’দুবার নোবেল জয় করেছেন।

সাহিত্যের আঙিনায় নজর দিলে দেখা যায় সুফিয়া কামাল, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মহাশ্বেতা দেবীর মতো মনীষীরা নারীর কথা বলেছেন, সমাজের কথা বলেছেন, নিপীড়নের বিপরীতে তুলে ধরেছেন প্রতিরোধ। তাঁরা শুধু লেখক নন—সমাজ রচনার কারিগর।

রাজনীতির ময়দানেও যেমন দেখা যায় ইন্দিরা গান্ধী, শেখ হাসিনা, বেনজির ভুট্টোর মতো নারী নেত্রীদের, ঠিক তেমনই ধর্ম ও আধ্যাত্মিক জগতে ছিলেন রাবেয়া বসরী, যিনি সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে নারীত্বের গৌরবে রূপ দিয়েছেন।

এইসব নারীরা তাদের আত্মত্যাগ, মেধা ও অবদান দিয়ে আজও প্রমাণ করছেন—নারী মানেই শুধু কোমলতা নয়, নারী মানে দীপ্তি, তেজ এবং নির্মাণশীলতা। তারা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, প্রতিদিনের সমাজবোধে এক এক জন প্রকাশিত মনীষী নারী।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon