রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
 

মঠবাড়িয়ায় মুবিন হত্যার ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫

 

 ---

মো:আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১৬ জুলাই ২০২৫ রোজ বুধবার বিকেলে  মঞ্জুর মোর্শেদ মুবিন (২৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মিনহাজুল আবেদীন মুহিত (২৭) বাদি হয়ে শনিবার (১৯ জুলাই) ১২ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত মুবিন মঠবাড়িয়া বাজার বণিক সমিটির সভাপতি ও পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস আলী মহারাজের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে।

মামলার আসামীরা হলো- থানাপাড়া ৯নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম রনি (৩১), বাবু আকনের ছেলে মর্তুজা হাসান তিহাম (২১), জাকির হোসেনের ছেলে তানভীর (২১), মোস্তাক হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন (২১), নুহু চৌকিদারের ছেলে ফাহাদ চৌকিদার (২৬), বাবুল মৃধার ছেলে হৃদয় হোসেন (২১), মামুনের ছেলে শাওন মিয়া (২০), সবুজ নগর ৮ নং ওয়ার্ডের মুরাদ খানের ছেলে মুমিন খান (২০), ৬নং ওয়ার্ডের এমাদুল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২১), থানা পাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৩), হারুনের ছেলে নাঈম (২২) ও সবুজ নগর ৮ নং ওয়ার্ডের ইমাম হোসেন (২০)।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামলার স্বাক্ষী টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের ছেলে সাজিদ জমাদ্দার (১৯) গত ১৬ জুলাই বুধবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে হারুন কমিশনারের বাসার সামনে পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তানভীর ও রিফাত নামের দুই যুবক তাকে মোটর সাইকেলে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় সাজিদ একই এলাকার মুবিনকে ফোন দিলে মুবিন ঘটনাস্থলে এসে তাতে বাঁধা দিলে মুবিনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তানভীর ও রিফাত মুবিনকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে আসামীরা চাইনিজ চাপাতি সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের সনি র‌্যাংকস শো-রুমের উত্তর পার্শ্বে জমাদ্দার বাড়ি রোডের সম্মুখে প্রিন্স হোটেলের সামনে মুবিন, তার সাথে থাকা তামিম (২৩) ও রাহাত (২৭)কে এলাপাথারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহত মুবিন, তামিম ও রাহাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত মুবিন ও তামিমকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মুবিন মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৮ জুলাই রাতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের মৃধা বাড়ি নানার কবরের পাশে মুবিনকে দাফন করা হয়।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুবিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রফিকুর ইসলাম রনি আরও একটি হত্যা মামলার আসামী। আসামী গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon