মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
 

কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বাকৃবি উপাচার্যের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫

 

---


সুমন গাজী, বাকৃবি প্রতিনিধি:


বিএসসি কৃষিবিদদের পেশাগত অধিকার রক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ডিপ্লোমাধারীদের দাবির বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এসব দাবি যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। কৃষিবিদদের অস্তিত্ব রক্ষায় যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে আমি পাশে আছি।’


মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর ছয় দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কৃষিবিদ পরিচয়ে নিয়োগে বৈষম্য, পেশাগত স্বীকৃতি এবং ডিপ্লোমাধারীদের অগ্রাধিকার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।


উপাচার্য আরও বলেন, ‘শুধু বাকৃবিই নয়, দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এসে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টার দপ্তরে সরাসরি তুলে ধরতে হবে।’


শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭৪ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, যা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক। তারা জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পদায়ন বাতিল না হলে দেশব্যাপী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।’


কৃষিবিদদের অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা হলো-


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডি.এ.ই), বিএডিসি ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের পদ (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) বিএসসি কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।


ডি.এ.ইসহ অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে নবম ও অন্যান্য গ্রেডে পদোন্নতি এবং কাঠামোগত পুনর্বিন্যাস করতে হবে।


নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে নবম গ্রেডে (বিএডিসি কোটা ভিত্তিক) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না।


দশম গ্রেডের পদগুলো গেজেটের আওতার বাইরে রেখে পৃথক পদসোপান বা প্রচলিত কাঠামো বজায় রাখতে হবে। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।


কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ব্যতীত কেউ ‘কৃষিবিদ’ পদবী ব্যবহার করতে পারবে না এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।


কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অধীনেই রাখতে হবে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon