এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ সকালে কাউখালী দক্ষিণ বাজার সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাটে গিয়ে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়। এবছর কোরবানির পূর্বে আজ কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় করার শেষ হাটের দিন। শেষ দিনে কয়েক হাজার সাধারণ বিক্রেতারা ও পশু খামরি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই হাঁটে কোরবানির জন্য গরু ছাগল নিয়ে হাজির হয়েছে। অপরদিকে কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য শত শত লোক বাজারে ভিড় জমিয়েছে।আবার অনেকেই ঘুরে ঘুরে দাম কষাকষি করে পছন্দের গরুটি ৭০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় ক্রয় করে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। অপরদিকে বাজারে কিছু রোগাক্রান্ত পশু (গরু) নিয়ে আসায় অনেকেই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে বাজার থেকে পশু বিক্রি না করেই ফিরিয়ে নিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে আজকে শেষ দিনে কমবেশি সকলেই সাধ্য মোতাবেক কোরবানির পশু ক্রয় করে হাসিমুখে বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়। কাউখালীতে এযাবৎ কালের মধ্যে আজকের বাজার ছিল শান্ত এবং সুন্দর পরিবেশে বেচাকেনার উপচে পড়া ভিড়। নামে মাত্র নির্ধারিত খাজনা পরিশোধ করে চোতা (ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ) নিয়ে সহজে বাজার ত্যাগ করতে পারায় বেশিরভাগ মানুষের মুখেই ছিল খুশির আমেজ। অপরদিকে ছাগলের হাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ৫ থেকে ৫০হাজার টাকা মূল্যে হাঁকিয়ে ছাগল বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। তবে খুব কম খরচে ন্যায্য মূল্যে কোরবানির জন্য গরু ছাগল কিনতে পেরে অধিকাংশ ক্রেতাকে হাসিমুখে কোরবানির গরু ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। বিক্রেতারাও আজকে বেজায় খুশি। তারা জানিয়েছে আগের হাট গুলোতে ক্রেতারা শুধু গরু ছাগল দেখে দাম কষাকষি করে চলে যেত, বেচাকিনা হতো খুবই কম। আজ শেষ দিনে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্য দাবি করলে ক্রেতা অসাধারণ সামান্য ব্যবধানে দাম বলে ক্রয় করেন। তবে বাজারে ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত গরুর মূল্য চাইতে দেখা গেছে। বিল্লাল , হাফিজ, রুবেল মেম্বার সহ অনেকের সাথে আলাপ করলে তারা জানিয়েছেন আগের হাট গুলোতে পশু ব্যবসায়ীদের মুখে শোনা যেত লোস খানে আছে সঠিক মূল্য বলছে না। আর ক্রেতাদের দাবি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বাজার অস্থিতিশল করছে। আজকে এই ধরনের অভিযোগ কারো মুখেই শোনা যায় নাই। ক্রেতা বিক্রেতা সবার মধ্যেই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেছে। বাজার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক লিয়াকত তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান ফিরোজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাকিব তালুকদার, জানান উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এস এম আহসান কবিরের নির্দেশনায় শান্ত সুন্দর পরিবেশে কোরবানির হাট পরিচালনা করা হয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই আনন্দ মুখার পরিবেশে জেলা ব্যবসা করতে পারায় আমরাও আনন্দিত। দুপুর ১২ টার আগে শত শত কোরবানির পশু গরু বিক্রি হয়েছে। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন বাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পশু ডাক্তারের দুটি টিম সার্বক্ষণ বাজারে অবস্থান করছেন। চুরি ছিনতাই এর মত কোন ঘটনা না ঘটে এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য