এনামুল হক, বিশেষ, প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুরের কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ভাসিয়ে নিয়ে গেছে মাটির কাঁচা পাকা রাস্তা ।পাশাপাশি শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করার কারণে সহজে পানি নামতে পারছে না । এতে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের অংশ, সহ মানিক মিয়া কিংডার গার্ডেন এর আশপাশের এলাকা ও সামনের রাস্তায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে।
কয়েক বছর পূর্বে ড্রেন নির্মাণের জন্য টেন্ডার হইল অজ্ঞাত কারণে এইসব এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করা হয় নাই। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এই সমস্ত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এমনকি আশপাশের বসবাস করা সাধারণ মানুষ জলাবদ্ধতার কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানা পানি বেরিয়েছে রোগে আক্রান্ত হওয়া সহ নানা পানি বাহিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলার শাপলেজা, জোলাগাতি, ফলইবুনিয়া, বেকুটিয়া সুবিদপুর, আমরাজুরি, মেঘ পাল, সয়না রঘুনাথপুর এই সমস্ত এলাকার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে অতিরিক্ত পানির চাপ ও বর্ষার কারণে কাঁচা মাটির রাস্তা গুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের আব্দুল মোতালেব বলেন, কচা ও সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে শুরু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে আশপাশ তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি উঠলে বিপদ বেড়ে যায়। রাতের জোয়ারে অনেক পানি উঠেছে , আমরা আতঙ্কের ভিতর ছিলাম।
সদর ইউনিয়নের বিড়ালজুরি গ্রামের সাইফুল্লাহ মনির বলেন, সাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে সন্ধ্যা নদীর জোয়ারের পানিতে ও বৃষ্টির কারনে নদীর পাড়ের আশপাশের তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
রিক্সা চালক লিটন বলেন, বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষকরে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা গাড়ি খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য